Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Kolkata Karcha

কস্তাপেড়ে গন্ধতেল মাথাঘষা

বহু পরিবারে প্রতি বৃহস্পতিবারের রেওয়াজ ছিল বাড়ির বৌ-মেয়েদের আলতা পরার। পুজো এগিয়ে আসতে তাতে লাগত উৎসবের ছোঁয়া।

শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৫:৩৪
Share: Save:

১৮২৬ সালের দুর্গাপুজোয় কলকাতার এক ধনী বাবুর বাড়িতে এক মেমসাহেব অন্দরমহলের মেয়েদের দেখেছিলেন জরিপাড় ফিনফিনে বেনারসি শরীরে দু’প্যাঁচ করে পরতে। ফ্যানি পার্কস-এর এমন অভিজ্ঞতার কয়েক দশক পরেই অমৃতলাল বসুর লেখায় মেলে তাঁর ছেলেবেলায় পুজোর বাজারে শাড়ির বিপুল সম্ভারের কথা। কস্তাপেড়ে, নীলাম্বরী, জন্মএয়োস্ত্রী ডুরে, বিদ্যাসাগর পেড়ে, ঢাকাই গুলবাহার, শান্তিপুরি কল্কাদার— আরও কত। ঔপনিবেশিক কলকাতার পুজো প্রসঙ্গে বারমহলের বাইনাচ আর খানাপিনার আলোচনা যত, অন্দরমহলের সাজগোজ-প্রসাধনের খবর তত মেলে কি? অমৃতলালের স্মৃতি-ভাষ্য: “ছেলেদের পুজোর সময় যেমন নতুন জুতো কিনে পায়ে দিতেই হবে, পঞ্চমী ষষ্ঠীর দিন তেমনি মেয়েদের বেলোয়াড়ি চুড়ি চাই-ই চাই। যার হাতে সোনার বাউটী, বাউড়ী, খাড়ু, পঁইছে, মটরদানা নারকেল ফুল মুড়কী মাদুলী দিয়ে মোড়া, তাঁরও।”

পুজোর রূপটানে সাবানের বিশেষ চাহিদা ছিল মেয়েমহলে। বিবাহযোগ্যা মেয়ে, অল্পবয়সি বৌরা পুজোর সময় হাতে-মুখে মাখার জন্য সাবানের আবদার ধরতেন। দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের হাসির কবিতায় ছিল রাধার সাবান মাখার কাহিনি: “কৃষ্ণ বলে এমন বর্ণ দেখিনি ত কভু/ আর রাধা বলে, হাঁ আজ সাবান মাখিনি ত তবু/ নইলে আরও শাদা।” গেরস্থবাড়িতে সাবানের ব্যবহার হত সাধারণত পাঁচড়া সারাতে। জোড়াসাঁকোর ‘মাথাঘষা গলি থেকে মশলা আনিয়ে অঙ্গমার্জনা করতেন মেয়েরা। আবার গলিতে গলিতে ‘মাজনমিশি মাথাঘষা’ বলে ডেকে যেত মুসলমান বুড়ি ফেরিওয়ালি। পুজোয় প্রসাধনী-চাহিদার অন্তরঙ্গ ছবিটি মেলে হেমেন বোসের ‘কুন্তলীন’ তেলের বিজ্ঞাপনে, সেখানে প্রবাসী স্বামীকে পুজোর ছুটিতে বাড়ি ফেরার সময় সুগন্ধি তেল আনতে বলে স্ত্রী লিখছেন, “কুন্তলীন তেলটা নাকি ভাল সবার চেয়ে,/ ভাল চাও তো তাই আনবে দো-মনা না হ’য়ে।” স্পিরিট ভেজা গন্ধ মেশানো পমেটম বা গোল্ডেন অয়েলের পাশাপাশি থাকত দুধের সর, বেসন, মসুরডালের রূপটান আর কাজল-আলতার সাবেক সাজ-প্রসাধন— চিরকালীন, অকৃত্রিম।

বহু পরিবারে প্রতি বৃহস্পতিবারের রেওয়াজ ছিল বাড়ির বৌ-মেয়েদের আলতা পরার। পুজো এগিয়ে আসতে তাতে লাগত উৎসবের ছোঁয়া। মেয়েরা এক-এক করে নখ কেটে, ঝামায় পা ঘষে, আলতা পরতেন নাপিতানির কাছে। কুমারী মেয়েদের পায়ের পাতায় যোগ হত বাড়তি আলতার ফোঁটা। পুজো এগিয়ে আসার দিনে কাচ-লাগানো কাঠের বাক্সে শাঁখা-পলা আলতা-সিঁদুর নিয়ে আসতেন ফেরিওয়ালারা। ময়ূরমুখ হংসমুখ মকরমুখ শাঁখা ঘিরে বসতেন মেয়েরা, দরদাম মিটলে হাতে হাতে উঠত নতুন শাঁখা-পলা। সময় বদলেছে, শরতের পদধ্বনি আর পুজোয় আয়োজনেরও ভোল পাল্টেছে। মহানগরের কি মনে পড়ে মেয়েমহলের নিজস্ব সেই সব সুখ, হারিয়ে যাওয়া ফেরিওয়ালা আর বিকিকিনির আমোদ-ইতিহাস? ছবিতে বালথাজ়ার সলভিন্স-এর আঁকা আঠারো শতক-শেষের কলকাতায় ‘শাঁখের করাত’ হাতে শাঁখারি, এবং কালীঘটের পট, ছবি: উইকিমিডিয়া কমনস

জন্মজয়ন্তী

তাঁর জন্মের সার্ধশতবর্ষ পূর্তি এগিয়ে আসছে ক্রমে, অপেক্ষা তিন বছরের। ১৫ সেপ্টেম্বর, গতকাল পেরিয়ে গেল শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন (জন্ম ১৮৭৬), এ শহরে শরৎ সমিতি-র উদ্যোগে প্রতি বছরের মতো এ বারও শরৎচন্দ্রের জন্মজয়ন্তী উৎসবের আয়োজন হয়েছে। অনুষ্ঠান আগামী কাল ১৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়, ১৭২ রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ের ঠিকানায় শরৎস্মৃতি সদনে। শরৎ-স্মরণ ও আলোচনার পাশাপাশি অন্যতম আকর্ষণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দের পুরস্কার অর্পণ অনুষ্ঠান, এ বছরের শরৎ পুরস্কারে ভূষিত হবেন বিশিষ্ট লেখিকা জয়া মিত্র। শরৎ-অনুবাদ পুরস্কারে সম্মানিত হবেন ক্ষীরোদ পরিদা; যাহার অমর স্থান: ফিরে দেখা শরৎচন্দ্র বইটির (প্রকা: ঋত) জন্য শরৎচর্চা ও গবেষণা পুরস্কারে ভূষিত হবেন গোপা দত্ত ভৌমিক। রামকুমার মুখোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে আলোচনাচক্রে বলবেন শক্তিসাধন মুখোপাধ্যায় অভীক মজুমদার ও রেণুকা রথ।

শিক্ষাক্ষেত্রে

মানুষের অন্তর্নিহিত পূর্ণতার বিকাশই হল শিক্ষা, বলতেন স্বামী বিবেকানন্দ। তাঁর সেই ভাবনাকে রূপ দেওয়ার কাজে ব্রতী রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন। গত বছর ১২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে সঙ্ঘের, এই সুদীর্ঘ অভিযাত্রায় শিক্ষাক্ষেত্রে রামকৃষ্ণ মিশনের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিন দিন ব্যাপী এক জাতীয় আলোচনাচক্রের আয়োজন করেছে রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম নরেন্দ্রপুর। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টায় আশ্রমের শ্রীমা সারদা হল-এ শুরু, উদ্বোধন-ভাষণ দেবেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ। ২৩ ও ২৪ সেপ্টেম্বর বলবেন সন্ন্যাসী ও অন্য বিশিষ্ট বক্তারা— পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর ও দক্ষিণ ভারত এবং উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে শিক্ষাক্ষেত্রে, কারিগরি, স্বাস্থ্য ও উচ্চশিক্ষায়, শিক্ষক শিক্ষণে, নারী, জনজাতি ও জনশিক্ষার কাজে, মূল্যবোধের পরিসরে রামকৃষ্ণ মিশনের ভূমিকা নিয়ে।

যুগলে

কথকতার ধারা বেয়ে রামায়ণ-মহাভারত, পুরাণকথা ছড়িয়ে পড়ে প্রজন্মান্তরে। বাড়ির খুদেরা প্রবীণদের থেকে শোনে রূপকথা, হাটে-বাজারে আসরে কত গাল্পিক বুনে চলেন লোককথার জাদু। এ কালে বাংলা শ্রুতিনাটকের ভূমিকাও কি এমনই নয়? জগন্নাথ বসু-ঊর্মিমালা বসু জুটি এই মাধ্যমটিতে পরিবেশন করেছেন সাহিত্যের মণিমুক্তো, বঙ্গজীবনের চেনা দুঃখ চেনা সুখ। কেমন ছিল দুই শিল্পীর শুরুর দিনগুলি আর এই দীর্ঘ সংস্কৃতি-যাত্রা, তারই ধারাবিবরণী এ বার যুগলেষু— দ্য ডুয়ো তথ্যচিত্রে। দুই শিল্পীর সংস্থা ‘উন্মেষ’ ও ‘কথানদী’র ছাত্রছাত্রীদের প্রযোজনা, ছবিতে তাঁদের নিয়ে বলেছেন পবিত্র সরকার জয় গোস্বামী শ্রাবন্তী মজুমদার ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়। দেখা যাবে ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টায়, উত্তম মঞ্চে।

শ্রমিকের পাশে

শ্রমিকের স্বাস্থ্য নিয়ে আমাদের দেশ কি ভাবিত? যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভারতে চলছে, তার প্রাসঙ্গিকতা কী, সীমাবদ্ধতা কোথায়? শ্রমিকের স্বাস্থ্য নিয়ে কথাবার্তায় সংগঠিত-অসংগঠিত শ্রমিক, গিগ ও প্ল্যাটফর্ম ওয়ার্কার, স্কিম ওয়ার্কারদের যুক্ত করার কোনও উদ্যোগ কি চোখে পড়ে? শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের জন্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের ভূমিকা, শ্রমিকের স্বাস্থ্য নিয়ে নানা বিষয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা ও নতুন দিশার খোঁজে ‘সুনীল সেনগুপ্ত স্মারক বক্তৃতা’ আয়োজন করেছে ‘নাগরিক মঞ্চ’। ৩৫তম প্রতিষ্ঠাদিবসের অনুষ্ঠান আগামী ২২ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টেয় রামমোহন লাইব্রেরি হল-এ, বলবেন কুনাল দত্ত জগদীশ পটেল অশোক ঘোষ প্রমুখ।

বিশ্বের ছবি

ছয় দিনে ছাব্বিশটি ছবি। ভারতের নানা প্রদেশ ও ভাষার তো বটেই, সঙ্গে পানামা, পর্তুগাল, মিশর, কিউবা, ফ্রান্স, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, কোস্টারিকা, টিউনিসিয়া, আর্মেনিয়া, রাশিয়া, কাজ়াখস্তানের ছবি দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ় অব ইন্ডিয়া (এফএফএসআই)-এর পূর্বাঞ্চলীয় শাখা। নন্দন-৩’এ আগামী ২২ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর, দুপুর ১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত তাদের আয়োজনে ‘ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’, দ্বিতীয় বছরে পড়ল এ বার। ২২ তারিখ উদ্বোধন করবেন ভারতে পানামার রাষ্ট্রদূত ও কনসাল জেনারেল ইয়াসিয়েল বুরিলো, সমাপ্তিদিনে সংবর্ধিত হবেন এ বছর ‘শ্রেষ্ঠ বাংলা ছবি’র জাতীয় পুরস্কারজয়ী কালকক্ষ-র পরিচালক-জুটি রাজদীপ পাল ও শর্মিষ্ঠা মাইতি, প্রযোজক অঞ্জন বসু।

নিরীক্ষা

ছবিই এঁকে এসেছেন এত দিন, নানা রীতিতে। নব্বই দশকের গোড়ার দিকে শুরু একক প্রদর্শনী, নির্জন সমাহিত শিল্পরীতিতে নিরীক্ষায় থেকেছেন বরাবরই। ভিস্যুয়াল আর্টস-এর শিক্ষকতার পাশাপাশি ফোটোগ্রাফি, অ্যানিমেশন, গ্রাফিক ডিজ়াইন চর্চাও চালিয়ে গিয়েছেন শঙ্কর এস, প্রদর্শনীও করেছেন। ঐতিহ্যবাহী চিত্রকরেরা তাঁকে প্রাণিত করেছেন, মুগ্ধ করেছে আলোকচিত্রীদের কাজও। কিন্তু কখনওই ‘শুধু এক ফোটোগ্রাফার’ হতে চাননি, সম্প্রতিকালে ডিজিটাল ফোটোগ্রাফি ও ইমেজ তৈরিতে নিজের উদ্ভাবনী ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে নতুন শিল্পরীতির সন্ধানী হয়েছেন, স্থিরচিত্রের ইমেজের সঙ্গে প্যাস্টেল অ্যাক্রিলিক তেলরঙের মিশ্রণে। তাঁর এই অন্বেষণে ‘ড্রামাটিক ইন লাইফ’-এর স্পর্শ পেয়েছেন শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় মায়া আর্ট স্পেস-এ শঙ্করের ডিজিটাল ফোটোমন্তাজ-এর (ছবি) প্রদর্শনী ‘জাক্সট-আ-স্কেপস’-এর উদ্বোধন। চলবে ২৪ সেপ্টেম্বর অবধি, দুপুর ২টে থেকে রাত ৮টা।

পুতুল-রাজ্যে

পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে তৈরি হয় নানা আঙ্গিকের পুতুল, বাংলার লোকসংস্কৃতি চর্চার একটা বড় জায়গা জুড়ে আছে তারা। এদের নিয়েই রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের অন্তর্গত লোকসংস্কৃতি ও আদিবাসী সংস্কৃতি কেন্দ্র আয়োজন করেছে পুতুলের কর্মশালা ও প্রদর্শনী, গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে চলছে গগনেন্দ্র শিল্প প্রদর্শশালায়। দার্জিলিঙের মাসাই পুতুল, রায়গঞ্জের মাটির পুতুল, বোলপুরের কাঠের পুতুল, বাঁকুড়ার বিকনার ডোকরা, বীরভূমের সুরুল ও পূর্ব মেদিনীপুরের গালার পুতুল, পূর্ব মেদিনীপুরের বেণী পুতুল ও দিওয়ালি পুতুল, পূর্ব বর্ধমানের নতুনগ্ৰামের কাঠের পুতুল, মুর্শিদাবাদের কাঁঠালিয়ার মাটি ও পাটের পুতুল, কৃষ্ণনগরের মাটির পুতুল, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের মাটির পুতুল, কী নেই! শিল্পীরা হাতে-কলমে বানিয়ে দেখাচ্ছেন পুতুল, রয়েছে কেনার সুযোগও। প্রদর্শনী আগামী কাল পর্যন্ত, দুপুর ২টো থেকে রাত ৮টা।

সেবাব্রতী

জওহরলাল নেহরুর উদ্যোগে, জাতীয় কংগ্রেসের সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ভাবনার ফল স্বরূপ ১৯৩৮-এ চিন-এ যায় পাঁচ-সদস্যের ভারতীয় মেডিক্যাল মিশন, তারই সদস্য দ্বারকানাথ কোটনিস ও বিজয় বসু। লাল ফৌজের সেনা ও সাধারণ মানুষের চিকিৎসায় আত্মনিয়োগ করেন তাঁরা। চার জন ভারতে ফিরলেও, ১৯৪২-এ চিন-এই প্রয়াত হন দ্বারকানাথ। চিনের হেবেই প্রদেশে জাতীয় শহীদ প্রাঙ্গণে আছে কোটনিসের মূর্তি, ভারত সরকার প্রকাশ করেছে স্মারক ডাকটিকিট। ১৯৭৩-এ বিজয় বসু তৈরি করেন সারা ভারত ডা. কোটনিস স্মৃতিরক্ষা কমিটি, তারই সুবর্ণজয়ন্তীতে এ বার বেরোল স্মারকগ্রন্থ, ডক্টর অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনালিস্ট দ্বারকানাথ কোটনিস (প্রকা: সম্পর্ক), ইংরেজি ছাড়াও হিন্দি ও চিনা ভাষায়। গত ৮ সেপ্টেম্বর অক্সফোর্ড বুক স্টোর-এ হয়ে গেল আনুষ্ঠানিক প্রকাশ-অনুষ্ঠান, কলকাতায় চিনের কনসাল জেনারেল ঝা লিয়োউ ও বিশিষ্টজন-সমাগমে।

অন্য বিষয়গুলি:

Old kolkata Sarat Chandra Chattopadhyay
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy