প্রতীকী ছবি।
সামাজিক মাধ্যমে রীতিমতো ‘গ্রুপ’ খুলে চলছিল অস্ত্র কেনাবেচার কারবার। সেখানেই অস্ত্র দেখিয়ে ঠিক হত দাম-দর। তার পরে সে সব পৌঁছে যেত নির্দিষ্ট ঠিকানায়। দীর্ঘ দিন ধরেই চলছিল এই কারবার। অবশেষে সূত্র মারফত খবর পেয়ে এই চক্রের এক কারবারিকে গ্রেফতার করল মানিকতলা থানার পুলিশ। ধৃতের নাম কিষাণ জয়সোয়ারা। ধৃতের কাছ থেকে একটি বন্দুক ও গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিশ নিয়োগী রোডের বাসিন্দা কিষাণ পেশায় গাড়ির চালক। গাড়ি চালানোর পাশাপাশি রীতিমতো দুষ্কৃতীদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করত সে। বছর চব্বিশের কিষাণের অপরাধ জগতে অবাধ যাতায়াত ছিল বলে পুলিশের দাবি। বেশ কয়েক দিন আগেই দু’হাতে দু’টি বন্দুক-সহ এক যুবকের ছবি পায় মানিকতলা থানার পুলিশ। যদিও সেই ছবিতে ওই যুবকের মুখের অংশটি ছিল না। এক হাতে একটি ঘড়ি ও জামা দেখেই যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। আর এর পরেই শনিবার ওই যুবকের সন্ধান পান তদন্তকারীরা। যদিও প্রথমে ওই যুবক আগ্নেয়াস্ত্র রাখার কথা স্বীকার করতে চায়নি। পরে তার বাড়িতে তল্লাশি চালায় মানিকতলা থানার পুলিশ। সেখান থেকে ঘড়ি ও জামার পাশাপাশি উদ্ধার হয় একটি বন্দুক এবং গুলি।
পুলিশের দাবি, এর পরে অভিযুক্তকে জেরা করলে অভিযোগ স্বীকার করে সে। শনিবার রাতেই তাকে গ্রেফতার করে মানিকতলা থানার পুলিশ। জেরার সময়ে আরও একটি বন্দুকের খোঁজ করতে সে ভাটপাড়ায় তার এক বন্ধুর বাড়িতে সেটি রাখা আছে বলে জানায়। শনিবার রাতেই সেটির খোঁজে ভাটপাড়া থানা এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। যদিও সেই যুবকের নাগাল পাওয়া যায়নি। ভাটপাড়ার ওই যুবকের বিরুদ্ধে একাধিক খুনের অভিযোগ রয়েছে বলেও পুলিশ জানতে পেরেছে। তার খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সামাজিক মাধ্যমে তৈরি করা ওই গ্রুপে নিয়ম করে অস্ত্রের ছবি দিত অভিযুক্ত যুবক। সেই গ্রুপে শহর এবং শহরতলির দুষ্কৃতীরা ছাড়াও জেলার একাধিক কুখ্যাত দুষ্কৃতীরা ছিল বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। সেখানেই চলত অস্ত্রের কেনাবেচা। তবে ধৃতের পরিবারের দাবি, ফাঁসানো হয়েছে কিষাণকে। ধৃত যুবককে রবিবার শিয়ালদহ আদালতে তোলা হয়। সেখানেই সরকারি আইনজীবী ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করেন। বিচারক ৫ তারিখ পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত দিয়েছন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy