চেন্নাইয়ে বেশ কয়েকটি আলট্রাসাউন্ড চিকিৎসাকেন্দ্র ছিল চিকিৎসক বালামুরুগানের। সেই ব্যবসায় প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তাদের প্রাথমিক অনুমান, সে কারণেই দুই কিশোর পুত্র এবং স্ত্রী সুমতিকে নিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন চিকিৎসক।
সুমতি পেশায় এক জন আইনজীবী ছিলেন। তাঁর এবং বালামুরুগানের ১৭ বছরের পুত্র দশবন্ত দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ডাক্তারির প্রবেশিকা নিটেরও প্রস্তুতি নিচ্ছিল সে। দম্পতির ১৫ বছরের ছোট পুত্র লিঙ্গেশ দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত। চেন্নাইয়ের আন্নানগরের বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার চার জনের দেহ উদ্ধার হয়। একটি ঘরে ছিল দম্পতির ঝুলন্ত দেহ। পাশে ঘরে ছিল তাঁদের দুই পুত্রের দেহ। বৃহস্পতিবার সকালে গাড়ির চালক গিয়ে বাড়ির দরজায় ধাক্কা দিয়েছিলেন। কোনও সাড়া না পেয়ে থানায় খবর দেন তিনি। তার পরেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
আরও পড়ুন:
এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই দম্পতির অনেক দেনা ছিল। সম্ভবত সেই কারণেই আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁরা। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, তারা তদন্ত করে দেখছে। কোথা থেকে চিকিৎসক দেনা করেছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।