বেআইনি নির্মাণ রুখতে কড়া আইনের খসড়া তৈরি করল কলকাতা পুরসভা। ফাইল ছবি।
গার্ডেনরিচে বেআইনি ভাবে নির্মিত বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনার পর মুখ পুড়েছিল কলকাতা পুরসভার। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বিধানসভা কেন্দ্র কলকাতা বন্দরের এমন ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছিল পুরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের কাজকর্ম নিয়েও। ওই ঘটনার জেরে শনিবারই পুরসভার তিন ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই আবহে বেআইনি নির্মাণ রুখতে কড়া আইনের খসড়াও তৈরি করে ফেলল পুরসভা। গত এক সপ্তাহ ধরে মেয়র এবং কলকাতা পুরসভার বিভিন্ন বিভাগের শীর্ষ আধিকারিকেরা বৈঠক করে কড়া আইনের খসড়াটি তৈরি করেছেন। যেখানে বেআইনি নির্মাণ প্রমাণিত হলে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের কথা বলা হয়েছে।
নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি চালু থাকায় এ সংক্রান্ত বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি মেয়র ফিরহাদ। কিন্তু কলকাতা পুরসভার এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, কলকাতা পুরসভার বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত পুরনো একটি আইন রয়েছে। সেটিকেই সংশোধন করে কড়া আইনে পরিণত করার খসড়া প্রস্তাব পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের কাছে পাঠানো হচ্ছে। সেখানে খসড়া প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে পাঠানো হবে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরে। সেখান থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন পেলেই আইন দফতরকে বিল তৈরি করতে বলা হবে। বিধানসভার অধিবেশনের সময় সেই বিল পেশ করা হবে। বিধানসভায় পাশ হলে তা পূর্ণাঙ্গ আইনে পরিণত হবে। এমন আইন চালু হলে প্রোমোটারদের বেপরোয়া মনোভাব অনেকটাই দমানো সম্ভব হবে বলেও মনে করছেন পুরসভার আধিকারিকেরা।
বিধানসভার আগামী অধিবেশন বসবে জুলাই-অগস্টে। ওই সময়েই বসবে বাদল অধিবেশন। ওই অধিবেশনেই বিলটি পেশ করা হবে বলে জানিয়েছে পুরসভার একটি সূত্র। নতুন এই আইনটি পাশ হলে, জমির মালিক ও প্রোমোটার— উভয়ের বিরুদ্ধেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হাতিয়ার পেয়ে যাবেন পুর আধিকারিকেরা। প্রসঙ্গত, বেআইনি নির্মাণ নিয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা থাকলেও, তা যথেষ্ট কড়া নয় বলেই মনে করছেন পুরসভার আধিকারিকেরা। তাই আইনটি সংশোধনের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে বলেই মত পুর আধিকারিকদের। বিধানসভায় বিল পেশের আগেই যদি কোনও বড়সড় বেআইনি নির্মাণ চোখে পড়ে, তা হলে অধ্যাদেশ জারি করেও ব্যবস্থা নেওয়ার ভাবনায় পুরসভা।
কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘বেআইনি নির্মাণ প্রমাণিত হলে জমির মালিক ও প্রোমোটারের ১০ বছরের বেশি কারাদণ্ডের বিধান থাকা উচিত। এমন আইন প্রয়োজন, যাতে অভিযুক্তেরা জামিন না পান। এমন সব কড়া বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত হলেই এই ধরনের বেআইনি নির্মাণ করার সাহস পাবেন না কোনও প্রোমোটার। এমনকি, জমির মালিকরাও প্রোমোটারদের বেআইনি নির্মাণ থেকে বিরত থাকতে বলবেন।’’ তাঁর মতে, এখন বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই জমির মালিক ও প্রোমোটার পৃথক থাকেন। তাই এমন আইন আনলে উভয়েই যে কোনও নির্মাণের ক্ষেত্রে সাবধানি থাকবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy