প্রতীকী ছবি
স্ত্রীর গায়ের রং কালো। অভিযোগ, তা নিয়ে প্রায়ই কথা শোনাত স্বামী। যা নিয়ে ওই দম্পতির মধ্যে অশান্তিও চলছিল। এ বার স্ত্রীকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মেরে বাড়ি থেকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। শনিবার রাত ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গা থানার জোয়ারিয়া এলাকায়। গুরুতর জখম অবস্থায় নাজিরা বিবি নামে ওই গৃহবধূকে প্রথমে বিশ্বনাথপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় বারাসত জেলা হাসপাতালে। ওই মহিলার মাথায় বেশ কয়েকটি সেলাই পড়েছে। ফুলে গিয়েছে চোখ-মুখ। রবিবার সকালে দেগঙ্গা থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নাজিরা। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৫ বছর আগে জোয়ারিয়ার বাসিন্দা শেখ কামারুজ্জামানের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল গাংধুলোটের বাসিন্দা নাজিরার। ওই দম্পতির দুই ছেলে, এক মেয়ে। আগে লোহার ব্যবসা করত কামারুজ্জামান। এখন ভ্যান চালায়। পরিবার সূত্রের খবর, আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক ভাল ছিল। কিন্তু গত দু’বছর ধরে নাজিরার উপরে কামারুজ্জামান অত্যাচার চালাচ্ছিল বলে অভিযোগ। মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে মারধর করত। খোঁটা দিত গায়ের রং নিয়েও। নাজিরা বলেন, ‘‘প্রথম দিকে সম্পর্ক মোটামুটি ভাল থাকলেও দু’বছর ধরে অশান্তি করত। আমার গায়ের রং কালো, এই বলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত। ঠিক মতো খেতেও দিত না।’’
অভিযোগ, শনিবার রাতে বাড়ি ফিরে একই জিনিস শুরু করে কামারুজ্জামান। দুই ছেলেকে একটি ঘরে আটকে রেখে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করে নাজিরাকে। আরও অভিযোগ, যথেচ্ছ কিল-ঘুসি-লাথি মারা হয়। বাঁশের আঘাতে নাজিরার মাথা ফেটে যায়। রবিবার সকালে বারাসত জেলা হাসপাতাল থেকে তিনি গাংধুলোটের বাড়িতে চলে আসেন। এ দিন নাজিরার ছেলে শেখ আশিকুল বলে, ‘‘পারিবারিক অশান্তির কারণে পড়াশোনা ছাড়তে বাধ্য হয়েছি। ওই দিন বাবা আমাদের তালাবন্ধ করে দিয়েছিল। চিৎকার করেও বাবাকে থামাতে পারিনি।’’
এ দিন ওই মহিলা বলেন, ‘‘অত্যাচার সহ্য করেও মুখ বুজে সংসার চালাচ্ছিলাম। কিন্তু শনিবার রাতে স্বামী মেরে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। আমি ওর শাস্তি চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy