হাওড়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে এসে শহরের নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিকাশি ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ দেন তিনি। এর পরেই টনক নড়ে প্রশাসনের। টাস্ক ফোর্স গঠনের প্রথম ধাপ হিসেবে হাওড়া শহরের নিকাশি ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে একটি বেসরকারি এজেন্সি নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই এজেন্সি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করার পরেই টাস্ক ফোর্স গঠন করবে জেলাপ্রশাসন।
হাওড়ার প্রশাসনিক বৈঠকের কয়েক দিন আগেই এক রাতের বৃষ্টিতে ভেসে যায় হাওড়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। মূলত নিকাশি ব্যবস্থার বেহাল দশার কারণেই বানভাসি রূপ নেয় হাওড়া। পাঁচশো বছরের বেশি পুরনো শহর হাওড়ায় নিকাশি নিয়ে সমস্যা দীর্ঘদিনের। সেই সব সমস্যাগুলিকে সঠিক ভাবে চিহ্নিত করতে ওই কাজে পারদর্শী সংস্থাকে নিয়োগ করছে পুরসভা। সেই জন্যে ইতিমধ্যেই ফিনান্সিয়াল টেন্ডার ডাকার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগ্রহী সংস্থা নির্বাচনের পরে সেই সংস্থা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করবে বলে জানান হাওড়ার পুর কমিশনার তথা পুর প্রশাসক বিজিন কৃষ্ণ।
তিনি বলেন, “এই মাস্টার প্ল্যান হাতে পাওয়ার পরেই সেই বিষয়ে আলোচনায় বসবে টাস্ক ফোর্স।’’ পুরসভা সূত্রে জানা গেছে, এর আগেও বাম পুর বোর্ডের আমলে নিকাশি সংস্কারের জন্য ১০০ কোটির প্রকল্প তৈরি করা হয়। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। নিকাশির কাজে চারটি পাম্পিং স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা হয়। কিন্তু তৈরি হয় একটি মাত্র পাম্পিং স্টেশন। এর পরে তৃণমূল জমানায় ২০১৬ সালে নিকাশি ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য আবার একটি ২০০কোটি টাকার প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করা হয়। কিন্তু সেটিও কার্যকরী হয়নি।
পুর কমিশনার বলেন, ‘‘প্রশাসন চাইছে যে প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি হবে সেটি বাস্তবায়িত করতে। তাই এজেন্সির রিপোর্ট পাওয়ার পরেই জেলাশাসকের নেতৃত্বে টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হবে। আসলে এ বার সমস্যা পুরোপুরি মেটাতে চাইছে সরকার।’’
হাওড়া শহরের নিকাশি ব্যবস্থা মূলত নির্ভরশীল ‘ডবল ব্যারেল ড্রেন’ এর উপরে। পূর্ব থেকে পশ্চিম শহরের দু’প্রান্তের নিকাশি ব্যবস্থা মূলত নির্ভর করে এই নালা দু’টির উপরে। এর আগে একবার ওই নালা পরিষ্কার করতে পাম্প বসিয়ে জল বার করে দেওয়ার চেষ্টা করা হলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়নি। সে কারণে এবারে মুখ্যমন্ত্রী বলার পরেই শহরের নিকাশি ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে উদ্দোগী হয়েছে প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy