Advertisement
১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
Death

সদ্যোজাতের মৃত্যুতে ‘গাফিলতি’, অভিযুক্ত হাসপাতাল

ঠাকুরপুকুরের দাসপাড়ার বাসিন্দা সৌভিক দত্তের স্ত্রী সুপর্ণা দত্ত গত ৫ অক্টোবর ডায়মন্ড হারবার রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই রাতেই তিনি একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২২ ০৮:২২
Share: Save:

সদ্যোজাত এক শিশুর মৃত্যুতে হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুললেন পরিজনেরা। এ বিষয়ে পুলিশে লিখিত অভিযোগও জানিয়েছেন তাঁরা। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরপুকুরে। কী কারণে ওই সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়েছে, তা জানতে শনিবার দেহের ময়না তদন্তও করিয়েছেন পরিজনেরা।

ঠাকুরপুকুরের দাসপাড়ার বাসিন্দা সৌভিক দত্তের স্ত্রী সুপর্ণা দত্ত গত ৫ অক্টোবর ডায়মন্ড হারবার রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই রাতেই তিনি একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। সৌভিক ও সুপর্ণার সেটিই প্রথম সন্তান। পরিজনেরা জানাচ্ছেন, জন্মের পরে বাচ্চাটি সুস্থই ছিল। ওজনও ঠিকঠাক ছিল। পরদিন, অর্থাৎ ৬ অক্টোবর বিকেলে আচমকাই হাসপাতাল থেকে ফোন করে জানানো হয়, বাচ্চার শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক। তড়িঘড়ি সকলে হাসপাতালে গিয়ে দেখেন, শিশুটি মারা গিয়েছে। সৌভিকের আত্মীয় দীপঙ্কর অধিকারী বলেন, “৬ অক্টোবর সকালেও হাসপাতালে গিয়ে দেখেছি, বাচ্চা সুস্থ রয়েছে। বিকেলে কী ঘটেছিল, হাসপাতাল তার উত্তর দিতে পারছে না। এক বার বলছে, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। আবার বলছে, শ্বাসনালিতে জল আটকে গিয়েছিল।”

সূত্রের খবর, ওই সদ্যোজাতের মৃত্যু কী করে হল, তা স্পষ্ট জানতে না পেরে হাসপাতালে ভাঙচুর চালান পরিজন-পরিচিতেরা। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। অন্য দিকে, একটি সুস্থ শিশু কী ভাবে মারা গেল, তা জানতে ময়না তদন্তের দাবি তোলেন সৌভিকেরা। এর জন্য ৭ অক্টোবর ঠাকুরপুকুর থানায় আবেদন জানান তাঁরা। এর পরেই শিশুটির দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তাঁরা পুলিশি তদন্তে সব রকমের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার উৎপল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছি। যদি কারও গাফিলতি পাওয়া যায়, তা হলে পদক্ষেপ করা হবে।” তিনি জানান, শিশুটি যেখানে ছিল, সেখানে আরও ৬টি সদ্যোজাত রয়েছে। ৬ অক্টোবর বিকেলে ওই শিশুটিকে দুধ খাওয়ানো হয়। এর পরে বেশ কিছু ক্ষণ তাঁকে কাঁধে নিয়ে ঘোরেন কর্তব্যরত নার্স। তার পরে শুইয়ে দিলেও শিশুটি নড়াচড়া করছিল না। বিষয়টি অস্বাভাবিক লাগতেই চিকিৎসকদের জানান তিনি।

উৎপলের দাবি, তৎক্ষণাৎ সিপিআর-সহ অন্যান্য চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হলেও সদ্যোজাতকে বাঁচানো যায়নি। তিনি বলেন, “এই ঘটনা আমাদের কাছেও দুর্ভাগ্যজনক। কী কারণে শিশুটির মৃত্যু হল, তা জানতে ময়না তদন্তে আমরাও সহযোগিতা করেছি। শিশুটির শ্বাসনালিতে জন্মগত ত্রুটি ছিল কি না, তা-ও ময়না তদন্তে বোঝা যাবে।” অন্য দিকে, দীপঙ্করবাবুরা জানাচ্ছেন, শিশুটিকে কী চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল, তার রিপোর্ট এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেয়েছেন তাঁরা।

সদ্যোজাতের মৃত্যুতে ‘গাফিলতি’, অভিযুক্ত হাসপাতাল

নিজস্ব সংবাদদাতা

সদ্যোজাত এক শিশুর মৃত্যুতে হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুললেন পরিজনেরা। এ বিষয়ে পুলিশে লিখিত অভিযোগও জানিয়েছেন তাঁরা। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরপুকুরে। কী কারণে ওই সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়েছে, তা জানতে শনিবার দেহের ময়না তদন্তও করিয়েছেন পরিজনেরা।

ঠাকুরপুকুরের দাসপাড়ার বাসিন্দা সৌভিক দত্তের স্ত্রী সুপর্ণা দত্ত গত ৫ অক্টোবর ডায়মন্ড হারবার রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই রাতেই তিনি একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। সৌভিক ও সুপর্ণার সেটিই প্রথম সন্তান। পরিজনেরা জানাচ্ছেন, জন্মের পরে বাচ্চাটি সুস্থই ছিল। ওজনও ঠিকঠাক ছিল। পরদিন, অর্থাৎ ৬ অক্টোবর বিকেলে আচমকাই হাসপাতাল থেকে ফোন করে জানানো হয়, বাচ্চার শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক। তড়িঘড়ি সকলে হাসপাতালে গিয়ে দেখেন, শিশুটি মারা গিয়েছে। সৌভিকের আত্মীয় দীপঙ্কর অধিকারী বলেন, “৬ অক্টোবর সকালেও হাসপাতালে গিয়ে দেখেছি, বাচ্চা সুস্থ রয়েছে। বিকেলে কী ঘটেছিল, হাসপাতাল তার উত্তর দিতে পারছে না। এক বার বলছে, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। আবার বলছে, শ্বাসনালিতে জল আটকে গিয়েছিল।”

সূত্রের খবর, ওই সদ্যোজাতের মৃত্যু কী করে হল, তা স্পষ্ট জানতে না পেরে হাসপাতালে ভাঙচুর চালান পরিজন-পরিচিতেরা। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। অন্য দিকে, একটি সুস্থ শিশু কী ভাবে মারা গেল, তা জানতে ময়না তদন্তের দাবি তোলেন সৌভিকেরা। এর জন্য ৭ অক্টোবর ঠাকুরপুকুর থানায় আবেদন জানান তাঁরা। এর পরেই শিশুটির দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তাঁরা পুলিশি তদন্তে সব রকমের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার উৎপল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছি। যদি কারও গাফিলতি পাওয়া যায়, তা হলে পদক্ষেপ করা হবে।” তিনি জানান, শিশুটি যেখানে ছিল, সেখানে আরও ৬টি সদ্যোজাত রয়েছে। ৬ অক্টোবর বিকেলে ওই শিশুটিকে দুধ খাওয়ানো হয়। এর পরে বেশ কিছু ক্ষণ তাঁকে কাঁধে নিয়ে ঘোরেন কর্তব্যরত নার্স। তার পরে শুইয়ে দিলেও শিশুটি নড়াচড়া করছিল না। বিষয়টি অস্বাভাবিক লাগতেই চিকিৎসকদের জানান তিনি।

উৎপলের দাবি, তৎক্ষণাৎ সিপিআর-সহ অন্যান্য চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হলেও সদ্যোজাতকে বাঁচানো যায়নি। তিনি বলেন, “এই ঘটনা আমাদের কাছেও দুর্ভাগ্যজনক। কী কারণে শিশুটির মৃত্যু হল, তা জানতে ময়না তদন্তে আমরাও সহযোগিতা করেছি। শিশুটির শ্বাসনালিতে জন্মগত ত্রুটি ছিল কি না, তা-ও ময়না তদন্তে বোঝা যাবে।” অন্য দিকে, দীপঙ্করবাবুরা জানাচ্ছেন, শিশুটিকে কী চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল, তার রিপোর্ট এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেয়েছেন তাঁরা।

অন্য বিষয়গুলি:

Death New Born Kolkata
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy