Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

তপন-খুনে ফের বিচারের নির্দেশ

বালির পরিবেশকর্মী তপন দত্তকে খুনের ঘটনায় পাঁচ অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে দিয়েছিল হাওড়া জেলা আদালত। সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট হাওড়া আদালতের সেই রায়কে খারিজ করে মামলাটির নতুন করে বিচার করার নির্দেশ দিয়েছে।

তপন দত্ত।

তপন দত্ত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৭ ০০:৪৬
Share: Save:

বালির পরিবেশকর্মী তপন দত্তকে খুনের ঘটনায় পাঁচ অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে দিয়েছিল হাওড়া জেলা আদালত। সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট হাওড়া আদালতের সেই রায়কে খারিজ করে মামলাটির নতুন করে বিচার করার নির্দেশ দিয়েছে। তপনবাবুর মেয়ে প্রিয়াঙ্কা দত্ত হাওড়া আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আপিল মামলা করেছিলেন।

প্রিয়াঙ্কার আইনজীবী উদয়শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় ও সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় জানান, এ দিন সকালে হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত ও বিচারপতি মহম্মদ মুমতাজ খানের ডিভিশন বেঞ্চ আপিল মামলার রায় ঘোষণা করে। ডিভিশন বেঞ্চ তাদের রায়ে বলেছে, নিম্ন আদালতকে এই মামলার পুনবির্চার করতে হবে এবং তপনবাবুর স্ত্রী প্রতিমাদেবী তদন্তকারীদের যে সব তথ্যপ্রমাণ দিয়েছিলেন, তার ভিত্তিতে নিম্ন আদালতকে সাক্ষ্যগ্রহণও করতে হবে।

আইনজীবীরা জানান, হাওড়া আদালত ২০১৪ সালের ৬ ডিসেম্বর তপন দত্ত হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ষষ্ঠী গায়েন, অসিত গায়েন, বাপি দাস, বাবুন ভৌমিক এবং রমেশ মাহাতোকে বেকসুর খালাস করার নির্দেশ দেয়।

আইনজীবীরা আরও জানান, বালির প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তপনবাবু স্থানীয় ‘জলাভূমি বাঁচাও’ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। জলাভূমি বুজিয়ে নির্মাণকাজের সঙ্গে যুক্ত একদল প্রোমোটারের ভাড়াটে গুন্ডাদের হাতে ২০১১ সালের মে মাসে তপনবাবু খুন হন বলে অভিযোগ। রাজ্য সরকার সিআইডি-কে তদন্ত করতে নির্দেশ দেয়। আইনজীবীদের অভিযোগ, সিআইডি প্রভাবশালী কয়েক জন অভিযুক্তকে আড়াল করে ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে।

এ দিন তপনবাবুর স্ত্রী প্রতিমাদেবী বলেন, ‘‘নিম্ন আদালতে বিচারের নামে প্রহসন হয়েছে। হাইকোর্টে নিরপেক্ষ ও ন্যায়বিচার পেয়েছি।’’

মামলা চলাকালীনই স্বামীর খুনের ঘটনার সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের আদালতে পৃথক একটি মামলা করেন প্রতিমাদেবী। সেই মামলার শুনানি আগামী সপ্তাহে ফের শুরু হবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE