শহরের বিভিন্ন জায়গায় জমা জলে বাড়ছে ডেঙ্গির শঙ্কা। ফাইল চিত্র
পুজোর আগে কলকাতা পুর এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় উদ্বিগ্ন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, গত দু’সপ্তাহ ধরে কলকাতা পুর এলাকায় এডিস ইজিপ্টাইয়ের কামড়ে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে শহরে প্রতিদিন গড়ে ৪০ জন ওই আক্রান্ত হচ্ছেন। রিজেন্ট কলোনি, রামগড়ের উপরে বিশেষ নজর রয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের। এ ছাড়া ট্যাংরা, তিলজলা লেন, বেহালার পর্ণশ্রী, নেতাজিনগর, বালিগঞ্জ থেকেও ডেঙ্গি সংক্রমণের খবর মিলেছে বলে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানানো হয়েছে। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে সোমবার বিকেল পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬৭। সেই রোগীদের মধ্যে বেলেঘাটা, ট্যাংরা, মানিকতলা, এন্টালি ও কসবার বাসিন্দা রয়েছেন। এই সব এলাকাগুলিতে বিশেষ ভাবে সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজন বোধ করছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাব্যক্তিরা।
তাঁদের মতে, অগস্ট পর্যন্ত কলকাতা পুর এলাকায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যাও। ইতিমধ্যে নিউ মার্কেটের বাসিন্দা রুহুল মল্লিক (১১) এবং রিজেন্ট পার্কের বাসিন্দা প্রজ্ঞা সাহার (৮) জ্বরে মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকদের বক্তব্য, ‘‘বৃষ্টি বাড়লে মশাবাহিত রোগের যে প্রকোপ বাড়ে, সেই পরিস্থিতিই এখন চলছে। বিগত বছরের তুলনায় কলকাতা পুরসভায় এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্ত কম। ২০১৭ সালে শুধু এক দিনেই ২৫০টি কেস নথিভুক্ত হয়েছে। তবে পুজোর মুখে ডেঙ্গির উপরে পুরসভার নিয়ন্ত্রণ কায়েম থাকবে কি না, সেটাই চিন্তার। তীরে এসে তরী ডুববে না তো!’’
কেন? ওই আধিকারিকদের ব্যাখ্যা, পুজোর সময়ে শহরে বহু মানুষের সমাগম হয়। পথঘাটে পড়ে থাকা প্লাস্টিক, কাপ, খাবারের প্লেটের জমা জল বিপদ বাড়াতে পারে। স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকদের দাবি, পুজোর পরে ডেঙ্গি সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েছে, এমন অভিজ্ঞতা তাঁদের রয়েছে। সেই কারণেই এ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পুজো উদ্যোক্তাদের চিঠিও দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র তথা স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ জানান, এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে পুরসভা ইতিমধ্যেই তার মোকাবিলায় নেমে পড়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘জল যাতে কোথাও জমে না থাকে তা নিশ্চিত করতে ব্যাপক প্রচার চলছে। ১৮-২২ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য-মণ্ডপ প্রতিযোগিতায় ১৫০০ পুজো কমিটি যোগ দিয়েছিল। সেখানে ৭০ নম্বর শুধু ছিল ডেঙ্গি সচেতনতা প্রচারের উপরেই। কয়েকটি পুজো কমিটি কোথাও জমা জল রয়েছে কি না, দেখার জন্য ড্রোনও ব্যবহার করেছে। মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে আমরা সব রকম ভাবে প্রস্তুত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy