প্রতীকী ছবি।
সম্প্রতি ডেঙ্গি প্রতিরোধে পর্যবেক্ষক দল তৈরি করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে ভর্তি ডেঙ্গি রোগীর চিকিৎসা পদ্ধতি নির্দিষ্ট প্রোটোকল মেনে হচ্ছে কি না, তা নজর রাখবে সেই দল। এ বার সেই রাস্তা ধরেই হাওড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতর জানিয়ে দিল, ডেঙ্গি প্রতিরোধে সরকারের নির্দিষ্ট পদ্ধতি না মানা হলে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাওড়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভবানী দাস মঙ্গলবার এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘‘ডেঙ্গি রোগের চিকিৎসায় সরকারি প্রোটোকল মানা হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত করতে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে তথ্যপঞ্জী করতে বলা হয়েছে। কোনও ডেঙ্গি রোগী মারা গেলে ওই তথ্যপঞ্জী দেখেই নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে চিকিৎসা হয়েছে কি না, স্বাস্থ্য দফতর তা নিশ্চিত করবে।’’
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের বক্তব্য, ডেঙ্গির মরসুম মূলত জুলাই। ওই সময়ের কথা মাথায় রেখে শহর ও গ্রামাঞ্চলে কড়া নজরদারি শুরু হয়েছে। দু’টি দলের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, স্বাস্থ্যকর্মীরা শহর ও গ্রামাঞ্চলের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এবং আশপাশের এলাকায় জমা জল ও জঞ্জাল নিয়ে বাসিন্দাদের সচেতন করবেন। বাসিন্দাদের মধ্যে জ্বরের প্রকোপ দেখার পাশাপাশি জেলা স্বাস্থ্য দফতরের ভেক্টর কন্ট্রোল ইউনিট শহরের বিভিন্ন স্থানের জমা জলে ডেঙ্গির লার্ভা খুঁজবে। যেখানেই লার্ভা পাবে, সেখানে লার্ভিসাইড ছড়িয়ে তা নষ্ট করবে বলে জানান মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, চলতি বছরের শুরু থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত সারা জেলায় ২৯ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। হাওড়ায় আক্রান্ত ১৫ জন। রোগ নির্ধারণের জন্য হাওড়া জেলা হাসপাতাল, উলুবেড়িয়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ও উদয়নারায়ণপুর গ্রামীণ হাসপাতালে তিনটি ডেঙ্গি নির্ধারক অ্যালাইজা মেশিন বসেছে। জেলার ৩২টি বেসরকারি ল্যাব ডেঙ্গি নির্ণয়কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy