—ফাইল চিত্র।
ছেলের চিকিৎসার বিল মেটাতে নগদ টাকার পাশাপাশি চেক দিয়েছিলেন বাবা। কিন্তু সেই চেক বাউন্স করে। তার পরেই বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মানবিক দিক থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে দু’জনের বিরুদ্ধে থাকা সব মামলা তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিল রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন। পাশাপাশি, নগদে তাঁরা যত টাকা দিয়েছেন, তাতেই পুরো বিল মিটিয়ে নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
বৃহস্পতিবার ছিল চলতি বছরে কমিশনের শেষ শুনানির দিন। বাবা প্রসেনজিৎ কর্মকার ও ছেলে দুর্বার কর্মকারের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় এ দিন ওই নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।। জানা গিয়েছে, গড়িয়ার বাসিন্দা প্রসেনজিৎবাবুর ছেলে, ২১ বছরের দুর্বার মৃগী ও মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত। এই বছরের মাঝামাঝি পেটের সমস্যা নিয়ে তিনি প্রথমে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখানে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়। ওই হাসপাতালে অস্ত্রোপচার না হওয়ায় ছেলেকে বাইপাসের ধারে আর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন প্রসেনজিৎবাবু। তিনি কমিশনে জানান, প্রথমে অস্ত্রোপচার বাবদ ৫-৬ লক্ষ টাকা খরচ হবে বলে জানানো হয়েছিল হাসপাতাল থেকে। ৫ মে অস্ত্রোপচারও হয়।
২৩ মে ছুটির সময়ে তাঁদের ৯ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকার বিল দেওয়া হয়। কোনও মতে ৭ লক্ষ টাকা দেন প্রসেনজিৎবাবু। সেই সময়ে হাসপাতাল তাঁকে কিছু দিন পরের তারিখের চেক দিতে বলে। সেই চেক বাউন্স করে বলে হাসপাতালের তরফে অভিযোগ দায়ের হয়। কমিশনে প্রসেনজিৎবাবুর স্ত্রী জানিয়েছেন, লকডাউনের ফলে তাঁদের ভ্রমণ সংস্থার ব্যবসা বন্ধ। এখন তাঁর স্বামী হকারের কাজ করেন। সব শুনে কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘হাসপাতালকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ওঁদের বিরুদ্ধে থাকা মামলা তুলে নিতে হবে। আর ৭ লক্ষ টাকাতেই পুরো বিল মিটিয়ে নিতে হবে। হাসপাতাল এই নির্দেশে রাজি হয়েছে।’’
আরও পড়ুন: এগ্রি গোল্ড দুর্নীতিতে ৪ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ইডি-র
আরও পড়ুন: তিন মেদিনীপুরের ৩৫ টি আসনই দখল করবেন, দাবি শুভেন্দুর
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy