একাদশ শ্রেণির দুই ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ঘোলার সি ব্লকে নবোদয় ইনস্টিটিউটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিনয়কুমার ভট্টাচার্য নামে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকেই তিনি পলাতক। মিতা দাস ও মৌলি মজুমদার নামে দুই ছাত্রীকে পানিহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্কুল ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন প্রার্থনার লাইন ভাঙার পরে করিডরে দাঁড়িয়ে একাদশ শ্রেণির কয়েক জন ছাত্রছাত্রী একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিল। হঠাৎই প্রধান শিক্ষক বিনয়বাবু সেখানে উপস্থিত হয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের জটলা দেখে মারমুখী হয়ে ওঠেন। অভিযোগ, মিতা এবং মৌলি তাঁর হাতের নাগালে থাকায় তিনি তাদের এলোপাথাড়ি কিল-চড় মারতে শুরু করেন। চুলের মুঠি ধরে লাথিও মারেন বলে অভিযোগ। বাকি পড়ুয়ারা কোনওক্রমে সরে যায়। ঘটনার আকস্মিকতায় সকলেই হতভম্ব হয়ে পড়েন। অন্য শিক্ষকেরা ও উঁচু ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীরাই ছুটে এসে বিনয়বাবুকে আটকান।
মার খেয়ে অচৈতন্য হয়ে পড়ে মিতা। অন্য শিক্ষকেরাই তাকে ও মৌলিকে পানিহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রধান শিক্ষকও প্রথমে নিজের ঘরে কিছুক্ষণ বসে থাকার পরে অসুস্থ বোধ করছেন বলে বেরিয়ে যান।
এ দিকে, ঘটনার পরে অভিভাবকেরাই ঘোলা থানায় অভিযোগ দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের খোঁজ শুরু হয়েছে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে মনোবিদ প্রশান্ত রায় বলেন, ‘‘অনেক মানুষই স্বভাবগত ভাবে বদ্রাগী হন। সামান্য কারণেই তাঁদের মারধরের প্রবণতা থাকে। আবার অনেক ক্ষেত্রে প্রবল মানসিক অবসাদ থেকেও আচমকা উত্তেজনা তৈরি হয়। যার প্রভাব পড়ে পেশার ক্ষেত্রেও। এ ক্ষেত্রে তেমন কিছুও হয়ে থাকতে পারে। সঠিক কাউন্সেলিং হলে এই সমস্যাগুলি এড়ানো যায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy