ডাক-মাসুল বাবদ পুরসভার দেওয়া পুরনো পাঁচশো এবং হাজার টাকার নোট ফিরিয়ে দিল নিউ মার্কেট ডাকঘর। কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিলেন, বাতিল হওয়া নোট তাঁরা নিতে পারবেন না। সরকারেরই এক সংস্থার দেওয়া টাকা না নিতে চাওয়ায় বেজায় ক্ষুব্ধ কলকাতা পুরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। বিষয়টি নিয়ে তিনি যোগাযোগ মন্ত্রকে অভিযোগ জানাবেন বলেও এ দিন জানান।
পুরসভা সূত্রের খবর, কলকাতা পুরসভা প্রকাশিত পুরশ্রী পত্রিকার শারদীয় সংখ্যা ডাকযোগে রাজ্যের মন্ত্রী, বিধায়ক এবং পুরসভাগুলোর কাছে পাঠানো হয়। সেই কারণে ডাকটিকিট কিনতে নিউ মার্কেট ডাকঘরে যান পুরসভার কর্মী। মেয়র জানান, ডাক-মাসুল বাবদ ৩০ হাজার টাকা ডাকঘরে দিতেই তাঁরা তা নিতে অস্বীকার করেন। নিউ মার্কেট ডাকঘর কতৃর্পক্ষ তা প্রত্যাখ্যান করায় কর্মীরা ফিরে বিষয়টি পুর-সচিবকে জানান।
সচিবের কাছে বিষয়টি শুনে ক্ষুব্ধ হন শোভনবাবু। তৎক্ষণাৎ ডাকঘরের প্রধান অফিস জিপিওতে অভিযোগ জানাতে নির্দেশ দেন। তাতেও কাজ হয়নি। বাতিল পাঁচশো ও হাজারের নোট নেওয়া যাবে না বলে তাঁরাও জানিয়ে দেন। তাতে আরও চটে যান মেয়র। এর পরই মেয়র বলেন, ‘‘এটা ব্যক্তিগত কাজ নয়। পুরশ্রী কলকাতা পুরসভার পত্রিকা। আর তা পাঠানো পুরসভার দৈনন্দিন কাজের মধ্যেই পড়ে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তালিকায় ডাকঘরও পুরনো পাঁচশো এবং হাজার টাকার নোট নেওয়ার অধিকারী। কলকাতা পুরসংস্থাও সেই তালিকায় রয়েছে।’’ তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সংস্থার একটি অফিসের উচিত হয়নি রাজ্যেরই এক সংস্থার সঙ্গে এমন আচরণ করার। তাঁর মতে, জিপিও কতৃর্পক্ষের উচিত ছিল যোগাযোগ মন্ত্রকের কাছে বিষয়টি জেনে নেওয়া। তা না করে ওঁদের কলকাতা পুরসভাকে ফিরিয়ে দেওয়া ঠিক কাজ হয়নি। তাঁর হুমকি, ‘‘ওঁদের মনে রাখতে হবে হিরে দিয়ে হিরে কাটা যায়।’’ যদিও ডাকঘর কতৃর্পক্ষের তরফে বলা হয়েছে, নিয়ম মেনেই চলা হয়েছে। প্রয়োজনে মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy