সোনা পাচারের উদ্দেশ্যে তাঁরা সবার আগে বিমানে উঠে পড়তে চান। সেই সময়ে বিমানের আসন বেশির ভাগই ফাঁকা। বিমানে উঠে খুব তাড়াতাড়ি সঙ্গের সোনা কোনও আসনের নীচে লুকিয়ে ফেলতে অনেক সুবিধা। এ কাজে তাঁরা বেশি সময়ও নেন না। বিমানের আসনের গদি চেয়ারের সঙ্গে আটকানো থাকে। একটু টানলেই তা উঠে আসে। বেশির ভাগ সময়ে সেই গদি তুলে তার তলায় সহজেই লুকিয়ে ফেলা যায় সোনার পাত। যাঁরা বিমান পরিষ্কার করার কাজ করেন, তাঁদের কাউকে দিয়েও এ ভাবে আসনের তলায় সোনা রেখে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার রাতে এ ভাবেই সোনা পাচারের খবর এসেছিল কলকাতা বিমানবন্দরের শুল্ক দফতরের কাছে। তাই এয়ারওয়েজের উড়ানে সেই পাচারকারী ব্যাঙ্কক থেকে সোনা নিয়ে কলকাতায় আসেন। কিন্তু, শুল্ক দফতর যে খবর পেয়ে গিয়েছে তা সম্ভবত বুঝতে পেরে সোনা বিমানে রেখেই নেমে যান সেই পাচারকারী। তাঁকে আর ধরা যায়নি। বিমান তল্লাশির সময়ে একটি আসনের গদির তলা থেকে পাঁচটি সোনার পাত পাওয়া গিয়েছে। এক একটির ওজন ৩৫০ গ্রাম। সব মিলিয়ে এই সোনার দাম ৪৬ লক্ষ টাকারও বেশি।
শুল্ক দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, যে পাচারকারী যাত্রী সেজে এ ভাবে আগে থেকে আসনের তলায় সোনা রেখে দেন, তিনি সোনা নিয়ে নামেন না। সোনা নিয়ে নামার দায়িত্ব থাকে পাচারকারী দলের অন্য সদস্যের। সাধারণত বিমান গন্তব্যে পৌঁছনোর পরে ইচ্ছাকৃত ভাবে বিমান থেকে দেরি করে নামেন সেই সদস্য। অন্য যাত্রীদের নেমে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করেন তিনি। তাঁকে আগে থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় কোন আসনের তলায় সোনা রয়েছে। তাই বিমানে ওঠার আগেই সেই আসনের কাছাকাছি কোনও এক আসনের বোর্ডিং পাস চেয়ে নেন এই পাচারকারী। যাতে তাড়াতাড়ি সোনা বার করে ফেলতে পারেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy