এভাবেই জামায় সাঁটানো ছিল ওই সোনার কাঠিগুলি। নিজস্ব চিত্র
রূপকথায় শোনা যেত সোনার কাঠি রূপোর কাঠির কথা। এ বার বাস্তবেও দেখা মিলল তার! একটি দু’টি নয়, ৭৬টি সোনার কাঠি সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছিল পাচারকারী। তবে শেষরক্ষা হল না। মঙ্গলবার কলকাতা বিমানবন্দরে ধরা পড়ল রাকেশ মাধাসিয়া নামের ওই ব্যক্তি। তার পাচারের কায়দা দেখে অবাক হয়ে গিয়েছেন সকলে। গ্রেফতার করা হয়েছে রাকেশকে।
বুধবার ভুটান এয়ারলাইন্সের উড়ানে (বি৩-৭০১) ব্যাঙ্কক থেকে কলকাতায় আসে রাকেশ। শুল্ক বিভাগের এয়ার ইন্টালিজেন্স ইউনিটের কাছে আগেভাগেই খবর ছিল, এই ব্যক্তি সোনা পাচারের চেষ্টা করতে পারে। সেই মতো তল্লাশিও শুরু করেন শুল্ক বিভাগের অফিসাররা। প্রাথমিক ভাবে কিছুই পাওয়া যায়নি তার কাছে। খবর কি তবে ভুল ছিল? ধন্দে পড়ে যান তাঁরা।
এই সময়ে রাকেশের হাতব্যাগে একটি গাউন দেখে সন্দেহ হয় তাঁদের। গাউনটি খুলতেই অফিসারদের চোখ কপালে। দেখা যায়, গাউনের ভিতরে মোটা আঠালো এক ধরনের স্ট্রিপ দিয়ে পাশাপাশি মোট ৭৬টি সোনার কাঠি বসানো রয়েছে, যার ওজন ১১৫ গ্রামের একটু বেশি। ওই সোনার আনুমানিক মূল্য সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা।
আরও পড়ুন:স্কুলে আসতে দেরি, ঝালদায় বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে ‘শাস্তি’ প্রধান শিক্ষককে
আরও পড়ুন:সাড়ে ২১ লক্ষ টাকার সোনা পিঠে মলমের মতো লাগিয়েও ধরা পড়ল পাচারকারী
দিন কয়েক আগেই পিঠে সোনার পাত লাগিয়ে দুবাই থেকে বিমানে চড়ে ভারতে এসেছিল অন্য এক সোনা পাচারকারী। লখনউয়ের চৌধরি চরণ সিংহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পরে মেটাল ডিটেক্টরে ধরা পড়ে যায় তা। কিন্তু গাউনে এ ভাবে আঠা দিয়ে সোনার কাঠি লাগানো থাকলে, ফাঁকি দেওয়া যেতে পারে মেটাল ডিটেক্টরকেও। এই কারণেই হয়তো এই অভিনব পদ্ধতিটি বেছে নিয়েছিল রাকেশ।
তবে শুল্ক বিভাগের অফিসাররা মনে করছেন, এটা ছিল রাকেশের রিহার্সাল। এই কায়দাটা সফল হলে হয়তো আরও বড় পাচারের পরিকল্পনা করত সে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy