প্রতীকী ছবি।
বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে সোনা নিয়ে এসে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে চালান করত সে। বড়বাজারে বসে সেই কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়ল সন্তোষ শর্মা নামে এক ব্যবসায়ী। দিন দুই আগে তাকে ধরার পরে চার কোটি ৭১ লক্ষ টাকার চোরাই সোনা ও রুপো উদ্ধার করেছে ‘ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স’ (ডিআরআই)। গোয়েন্দাদের অনুমান, ওই চক্রে আরও বড় মাথা রয়েছে।
গত ৮ ও ৯ ডিসেম্বর সিঁথি এলাকা থেকে সাত যুবককে ধরা হয়। ডিআরআই জানায়, তাদের বেশির ভাগ মুম্বই ও মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। বাংলাদেশের চোরাই সোনা মুম্বই পর্যন্ত পৌঁছে দিতে এরা কলকাতায় ঘাঁটি গেড়েছিল। রায়পুর ও মুম্বই থেকে ধরা পড়ে আরও দুই যুবক, যারা ট্রেনে চোরাই সোনা নিয়ে যাচ্ছিল। সব মিলিয়ে ১৬ কোটি টাকার (প্রায় ৪২ কিলোগ্রাম) সোনা বাজেয়াপ্ত হয়। ডিআরআই-এর দাবি, ধৃতদের জেরা করেই সন্তোষের নাম উঠে আসে। জানা যায়, বাংলাদেশ থেকে বিদেশের ছাপ মারা চোরাই সোনা কলকাতায় আনার দায়িত্ব ছিল সন্তোষের উপরে। কলকাতায় এসে সেই সোনা থেকে বিদেশের ছাপ মুছে দিত সে।
এর পরে সন্তোষের উপরে নজরদারি শুরু হয়। দিন দুই আগে বড়বাজারের পাঁচটি ঘর থেকে সোনা ও রুপো বাজেয়াপ্ত হয়। তার মধ্যে তিন কোটি ৬৩ লক্ষ টাকার ৮০টি সোনার বিস্কুট রয়েছে। যার ওজন প্রায় ৯ কিলোগ্রাম ৩৩০ গ্রাম। তা ছাড়াও ৫৮০ গ্রাম ওজনের ২১ লক্ষ টাকার সোনার কয়েন, ৮৩ লক্ষ টাকার ৪৯ কিলোগ্রাম রুপোর বল ও দু’লক্ষ টাকার রুপোর কয়েন মিলেছে। ওই পাঁচটি ঘরের সব ক’টির চাবিই ছিল সন্তোষের কাছে। কোথা থেকে ওই সোনা ও রুপো এল, সেই সংক্রান্ত কোনও কাগজপত্র সন্তোষ দেখাতে পারেনি। ১৬ ডিসেম্বর সন্তোষকে আদালতে তোলা হলে তার জেল হেফাজত হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy