Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

বাজেয়াপ্ত সোনা, অধরা পাচারকারী

প্রধানত ব্যাঙ্কক থেকে চোরাই সোনা কলকাতায় নিয়ে এসে পাচারকারীরা ধরা পড়ে যাচ্ছেন শুল্ক অফিসারদের হাতে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:২৮
Share: Save:

প্রধানত ব্যাঙ্কক থেকে চোরাই সোনা কলকাতায় নিয়ে এসে পাচারকারীরা ধরা পড়ে যাচ্ছেন শুল্ক অফিসারদের হাতে। লুকিয়ে এনেও শেষরক্ষা হচ্ছিল না। তাই কলকাতায় নেমে শুল্ক এলাকায় ঢুকে, একটি বন্ধ গেটের তলা দিয়ে সোনা-সহ প্যাকেট লাউঞ্জে পাচার করে দিয়েছিলেন পাচারকারী। পরিকল্পনা ছিল, শুল্ক এলাকার বাইরে এসে পাচারকারী সকলের চোখ এড়িয়ে নিজে সেই সোনা লাউঞ্জের মেঝে থেকে নিয়ে বেরিয়ে যাবেন। কারণ, ওই গেটটি বন্ধ থাকে এবং গেটের অন্য প্রান্ত, লাউঞ্জের ভিতর একে বারেই ফাঁকা থাকে।

কিন্তু রবিবারের সকালে চোরাই সোনার প্যাকেট পাচারকারী লাউঞ্জে এসে নেওয়ার আগেই দেখতে পেয়ে যান বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ-এর এক জওয়ান। ভিতরে যে সোনা আছে, তা প্রথমে ভাবেননি। তাই বম্ব স্কোয়াডে খবর পাঠানো হয়। দেখা যায়, ভিতরে বিস্ফোরক নেই। তখন প্যাকেট খুলে মেলে মোট ৬৫১ গ্রামের চারটি সোনার বার রয়েছে। যার বাজার মূল্য ২০ লক্ষ টাকা।

এ দিকে, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ধরা পড়েছে গেটের তলা দিয়ে চোরাই সোনা বাইরে পাঠানো ওই যাত্রীর চেহারা। উদ্ধার হওয়া সোনা এবং পাচারকারীর ছবি তুলে দেওয়া হয়েছে শুল্ক দফতরের হাতে।

সিআইএসএফ সূত্রের খবর, প্রতিদিনের মতো শনিবার রাত থেকেই একের পর এক আন্তর্জাতিক উড়ান নামছিল। অনেকগুলি আসে ব্যাঙ্কক থেকে। অনুমান, যে যাত্রী সোনা পাচারের চেষ্টা করছিলেন তিনি ব্যাঙ্কক থেকে এসেছিলেন। শুল্ক এলাকার ওই বন্ধ গেটটি দিনে বার দুয়েক খোলা হয়। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যাত্রীরা কলকাতায় নেমে ট্রলিতে জিনিস চাপিয়ে বিমানবন্দরের বাইরে যান। জিনিস নামিয়ে সেখানেই ট্রলি রেখে দেন। পরে একসঙ্গে অনেক ট্রলি জড়ো করে ওই কাচের গেট দিয়ে ভিতরে নিয়ে আসা হয়।

তলার দিকে মেঝের সঙ্গে যার সামান্য ফাঁক রয়েছে।

বছর তিনেক আগে কলকাতা বিমানবন্দরের শুল্ক এলাকা থেকে এ ভাবে আরও এক বার সোনা পাচারের চেষ্টা হয়েছিল। সে বারেও সোনা বাজেয়াপ্ত হয়। কিন্তু পাচারকারী অধরা ছিলেন।

অন্য বিষয়গুলি:

Gold Smuggler Custom
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE