—প্রতীকী ছবি
৪২ বছর আগে তিনি জেনারেল মেডিসিনে এমডি পাশ করেছিলেন। কিন্তু মেডিসিনের পাশাপাশি হুগলির ওই চিকিৎসক নিজেকে নিউরোলজিস্ট, ডায়াবেটোলজিস্ট এবং রিউম্যাটোলজিস্ট বলেও পরিচয় দিতেন বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আপাতত ছ’মাসের জন্য তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নির্দেশ দিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। এই সময়কালে কোনও রোগী দেখতে পারবেন না সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক।
সূত্রের খবর, রিষড়ার ওই চিকিৎসক সমর বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন হুগলির বাসিন্দা স্বপ্না দাস। অভিযোগে স্বপ্না জানিয়েছিলেন, ওই ব্যক্তি তাঁর প্রেসক্রিপশনের প্যাড, ভিজ়িটিং কার্ড এবং সাইনবোর্ডে মেডিসিনের পাশাপাশি আরও তিনটি রোগের চিকিৎসক বলে উল্লেখ করেছিলেন। একই সঙ্গে তিনি অ্যাপোলো হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত বলেও দাবি করতেন। তদন্তে নেমে কাউন্সিল জানতে পারে, ওই সমস্ত অভিযোগই ঠিক।
সূত্রের খবর, তদন্তে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল আরও জানতে পারে, ১৯৮১ সালে জেনারেল মেডিসিনে এমডি পাশ করেছেন সমর। এ ছাড়া, তাঁর আর কোনও ডিগ্রি নেই। আবার, অ্যাপোলোর সঙ্গে ২০০৬ থেকে আর যুক্ত নন ওই চিকিৎসক। হাসপাতালের তরফে তাদের নাম ব্যবহার করতে নিষেধও করা হয়েছিল।
মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার মানস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, গত ৬ জুন ‘এক্সট্রা-অর্ডিনারি’ বৈঠকে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগে সিলমোহর দিয়েছে পেনাল অ্যান্ড এথিক্যাল কমিটি। তার পরেই নথিভুক্ত চিকিৎসক (রেজিস্টার্ড মেডিক্যাল প্র্যাকটিশনার) হিসাবে ছ’মাসের জন্য সমরের নাম মুছে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কাউন্সিলের সভাপতি সুদীপ্ত রায় বলেন, ‘‘এই সব বিষয় বরদাস্ত করা হবে না।’’ যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে সমরের দাবি, গুজব রটানো হচ্ছে। মেডিক্যাল কাউন্সিলের কোনও নির্দেশিকা তিনি পাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy