প্রতীকী ছবি।
জিএসটি চালু হওয়ার পরেও চলছে কর ফাঁকির হাজারো পন্থা!
কেন্দ্রীয় সরকারের ৪০০ কোটি টাকা কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে ‘সেন্ট্রাল গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স’ (সিজিএসটি) দফতর মোট চার জনকে গ্রেফতার করেছে। কর ফাঁকি দেওয়ার মূল চক্রী পঙ্কজ বাগলার বাড়ি বাঙুরে। তাঁর সল্টলেকে অফিস রয়েছে। সেখানে প্রায় ১৫ জন কর্মী রয়েছেন। দ্বিতীয় জন এক চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। উত্তর কলকাতার বাসিন্দা সেই বিষ্ণু সিঙ্ঘানিয়ার কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা নগদও পাওয়া গিয়েছে। বিষয়টি আয়কর দফতরকে জানানো হয়েছে।
এ ছাড়াও গ্রেফতার হয়েছেন রাজীব ও সন্দীপ কয়াল নামে দুই ভাই। নিউ আলিপুরের বাসিন্দা ওই দুই ভাই চামড়ার মানিব্যাগ রফতানি করেন। অভিযোগ, পঙ্কজের সাহায্যে তাঁরাও জিএসটি ফাঁকি দিয়েছেন। তদন্তকারীদের কথায়, কর ফাঁকির অঙ্ক আরও বাড়তে পারে। উঠে আসতে পারে আরও নামও।
সূত্রের খবর, কাঁচা মাল কেনার সময়ে সরকারকে যে কর দিতে হয়, তৈরি মাল বিক্রির সময়ে সেই করে ছাড় পাওয়া যায়। উদাহরণ দিয়ে এক সরকারি কর্তা বলেন, ‘‘ধরে নিন, এক ব্যবসায়ী ৫০ টাকার মাল কেনার সময়ে সরকারকে ৬ টাকা কর দিয়েছেন। সেই কাঁচা মাল থেকে তৈরি জিনিস যখন ১০০ টাকায় তিনি বিক্রি করবেন, তখন হয়তো তাঁকে ১২ টাকা কর দিতে হবে। কিন্তু সেই সময়ে তিনি যদি সরকারকে দেখান যে কেনার সময়ে ৬ টাকা কর দিয়েছেন, তা হলে পরের বার ওই ১২ টাকা থেকে সেই ৬ টাকা বাদ যাবে।’’
অভিযোগ, অনেক ব্যবসায়ীই বাজার থেকে নগদ টাকা দিয়ে কাঁচা মাল কিনছেন এবং সেখানে কোনও বিল হচ্ছে না। ওই ভাবে কর ফাঁকি দিচ্ছেন তাঁরা। পঙ্কজদের সাহায্য নিয়ে পরে ভুয়ো বিল বানাচ্ছেন, যেখানে দেখানো হচ্ছে, ওঁরা কোনও একটি সংস্থা (ভুয়ো) থেকে মাল কিনেছেন এবং তার জন্য সরকারকে কর দিয়েছেন। এটা দেখিয়ে পরে বিক্রির সময়ে কর ছাড়ের সুবিধাও নিচ্ছেন। রাজীবদের মতো যাঁরা রফতানি করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে কাঁচা মাল কেনার সময়ে সরকারকে দেওয়া কর সরকার তাঁদের অ্যাকাউন্টে ফিরিয়ে দেয়। অভিযোগ, রাজীবেরা ভুয়ো বিল দেখিয়ে সেই সুবিধাও নিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy