প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। — ফাইল চিত্র।
ডিভিসির জল ছাড়া সংক্রান্ত বিতর্ক নিয়ে গত বছর কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বৃহস্পতিবার সেই মামলারই গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাই কোর্ট।
বৃহস্পতিবার মামলাটি হাই কোর্টে শুনানির জন্য ওঠে। সেখানেই অধীরকে মামলা প্রত্যাহার করতে বলে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। অধীরের আইনজীবীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘প্রথমে আপনার তথ্য সংগ্রহ করা উচিত। সংবাদপত্রের দু’টি পাতা তুলে ধরে মামলা করেছেন। কত জল সেখানে সংরক্ষণ করা হয়? কখন ডিভিসির জল ছাড়ে? জল ছাড়ার ক্ষেত্রে কী পদ্ধতি মানা হয়? তথ্য কোথায়?’’ এর পরেই বিচারপতি শিবজ্ঞানম বলেন, ‘‘আপনি এর আগেও জনস্বার্থ মামলা করেছেন। আমরা তা গ্রহণ করেছি এবং নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু এই মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।’’ দুই বিচারপতির বেঞ্চের আরও মন্তব্য, মামলাকারী চার বারের সাংসদ। পাশাপাশি, তিনি প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। তিনি জানেন কী ভাবে কাজ হয়। হাই কোর্টের সাহায্য তাঁর দরকার নেই।
ডিভিসি বিতর্ক নিয়ে জনস্বার্থ মামলা করতে চেয়ে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা অধীর। অধীরের বক্তব্য ছিল, মুখ্যমন্ত্রী বা তাঁর দফতর, ডিভিসি নিয়ে কে সঠিক কথা বলছে, তিনি তা জানতে চান। রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতর জন্য প্রথম থেকে ডিভিসির জল ছাড়ার সিদ্ধান্তকে দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যকে না জানিয়ে জল ছাড়ে ডিভিসি। রাজ্যের আপত্তি শোনা হয় না। আবার প্রকাশ্যে আসা একটি নথিতে দেখা যায়, ডিভিসির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে যে দিন মমতা চিঠি দিয়েছেন, তাঁর তিন দিন আগেই ‘বন্যা পরিস্থিতি’ তৈরি হতে পারে বলে আটটি জেলাকে সতর্ক করেছিল নবান্ন। অর্থাৎ, ডিভিসি যে জল ছাড়তে পারে, সেই সংক্রান্ত সতর্কতা ছিল নবান্নের কাছে। এখানেই অধীর প্রশ্ন তুলেছেন, মমতা নিজে না কি তাঁর দফতর, সঠিক কথা কে বলছে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy