প্রতীকী ছবি।
চিনের একটি সংস্থার এজেন্ট হয়ে কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে ৩০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছিল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। জারি হয় লুক আউট নোটিসও। সেই খবর পেয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল সে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। মুম্বই থেকে চিনে পালানোর সময়ে সোমবার মুম্বই বিমানবন্দরে ধরা পড়ে ওই অভিযুক্ত। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম মধুসূদন কাপাডিয়া। বাড়ি মুম্বইয়ে।
পুলিশ জানায়, কালীঘাট থানার শম্ভুনাথ পণ্ডিত স্ট্রিটের একটি সংস্থা গত ২৫ সেপ্টেম্বর পুলিশের কাছে অভিযোগে জানায়, চিনের একটি সংস্থাকে তারা পিচ তৈরি করার আনুষঙ্গিক উপকরণ পাঠায়। এই লেনদেনের দিকটি দেখাশোনা করত মধুসূদন। অভিযোগ, জিনিসপত্র বাবদ চিনের সংস্থার প্রদেয় টাকার একটি অংশ সে নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করত। কলকাতার সংস্থাটি জানতে পারে, তাদের কম দাম দিয়ে চিনের সংস্থার থেকে বেশি দাম আদায় করত মধুসূদন। এ ভাবে প্রায় ৩০ কোটি টাকা সে আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ।
অভিযোগ পেয়ে কালীঘাট থানার পুলিশ মধুসূদনের খোঁজ পেতে লুক আউট নোটিস জারি করে। কিন্তু সেই খবর পেয়ে গা ঢাকা দেয় সে। কালীঘাট থানা সূত্রের খবর, সোমবার মুম্বই বিমানবন্দরের অভিবাসন দফতর থেকে খবর আসে যে, চিনের বিমানে ওঠার সময়ে ধরা পড়েছে ওই অভিযুক্ত। খবর পেয়ে সে দিন মুম্বই যান কালীঘাট থানার তদন্তকারীরা। মঙ্গলবার ধৃতকে মুম্বইয়ের আদালতে হাজির করিয়ে দু’দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় আনা হয়।
বুধবার অভিযুক্তকে আলিপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারকের আদালতে হাজির করানো হয়। সরকারি কৌঁসুলি সৌরীন ঘোষাল আদালতে জানান, অভিযুক্ত চিনে পালাচ্ছিল। তার দু’টি পাসপোর্ট। পাসপোর্ট চুরি হয়ে গিয়েছে বলে থানায় ডায়েরি করে ফের মধুসূদন একটি পাসপোর্ট তৈরি করে। অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে টানা জেরা করার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ, যে পরিমাণ টাকা প্রতারণা করা হয়েছে, সেই টাকা কোথায় রয়েছে এবং এর সঙ্গে আর কেউ জড়িত কি না, তা জানতে ধৃতকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া দরকার। সৌরীনবাবু জানিয়েছেন, বিচারক অভিযুক্তকে আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy