Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
Snake Rescue

সাপ উদ্ধারে গিয়ে প্রহৃত বনকর্মীরা, গ্রেফতার দুই

এমনকি অভিযুক্তেরা গাড়ির কাচ ভেঙে দেয় বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২০ ০২:২৫
Share: Save:

সাপ উদ্ধার করতে যাওয়া বন দফতরের কর্মীদের মারধর এবং সরকারি গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল নারকেলডাঙা থানা এলাকায়। মারধরের এই ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে, ক্যানাল ইস্ট রোডে। ওই রাতেই তিন অভিযুক্তের মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম মহম্মদ রাজা এবং মহম্মদ রিয়াজ বলে জানিয়েছে পুলিশ। বুধবার রাত পর্যন্ত তৃতীয় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা যায়নি। তবে তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

শিয়ালদহ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অরূপ চক্রবর্তী জানান, ধৃত রাজা ছাত্র। রিয়াজের সঙ্গে সে পাখি কেনাবেচার ব্যবসা করে। ধৃতদের বুধবার শিয়ালদহ আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের তিন দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বন দফতরের কাছে খবর যায়, ক্যানাল ইস্ট রোডে সাপ ঘুরে বেড়াচ্ছে। বন দফতরের একটি দল গাড়ি নিয়ে তৎক্ষণাৎ সেখানে পৌঁছে যায়। দীর্ঘক্ষণ খু়ঁজেও কোনও সাপ দেখতে না পেয়ে কর্মীরা সেখান থেকে ফেরার জন্য গাড়িতে উঠতে যান। পুলিশের এক অফিসারের অভিযোগ, ওই সময়ে অভিযুক্ত তিন জন বন দফতরের গাড়িচালক আশিস পাল-সহ অন্য বনকর্মীদের মারধর করে। তবে বেশি প্রহৃত হন ওই গাড়িচালক। এমনকি অভিযুক্তেরা গাড়ির কাচ ভেঙে দেয় বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতেরা পাখির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। বেশ কিছু দিন আগে বন দফতরের একটি দল একই রকম গাড়ি নিয়ে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের থেকে বেশ কিছু বেআইনি পাখি বাজেয়াপ্ত করেছিল।

পুলিশের অনুমান, এ দিন তাই ওই গাড়িটি দেখে অভিযুক্তেরা ভেবেছিল, ওই দলটি আবার এলাকায় অভিযান চালাতে ফিরে এসেছে। তাই বদলা নিতে সরাসরি বন দফতরের ওই গাড়ি এবং কর্মীদের উপরে হামলা চালায় অভিযুক্তেরা। যদিও তদন্তকারী এক অফিসার জানাচ্ছেন, সাপের খবর আদৌ সত্যি, নাকি অভিযুক্তেরা ভুয়ো খবর দিয়ে বন দফতরের দলকে এলাকায় ডাকিয়ে এনেছিল, সেটাই জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Snake Rescue Forest Worker Violence Crime
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE