এসএসকেএম এবং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে পাঁচ জন ধৃত। —ফাইল চিত্র।
সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা তোলার অভিযোগ উঠল কলকাতায়। একাধিক হাসপাতালে এই চক্র চলছে বলে অভিযোগ। কলকাতা পুলিশ ইতিমধ্যে এসএসকেএম এবং মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে পাঁচ জনকে ধরেছে। তাঁদের মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। অভিযোগ, হাসপাতালে দালালচক্র খুলে বসেছিলেন তাঁরা।
এসএসকেএম হাসপাতাল এবং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে এই দালালির অভিযোগে সম্প্রতি তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। ভবানীপুর থানার তৎপরতায় এসএসকেএম চত্বর থেকে তিন জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁরা হলেন শচীন সর্দার, বান্টি প্রসাদ এবং রাকেশ মল্লিক। অভিযোগ, রোগী এবং রোগীর পরিবারের কাছ থেকে টাকা নিতেন তাঁরা। বিনিময়ে তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতেন।
একই ভাবে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেও অভিযান চালিয়েছিল বৌবাজার থানার পুলিশ। সেখানেও রোগী-ভর্তির নামে দালাল চক্র চলার অভিযোগ জমা পড়ে। পুলিশ ওই হাসপাতাল চত্বরে তল্লাশি চালিয়ে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। তাঁরা হলেন কৃষ্ণ পণ্ডিত এবং উৎপল দাস। উভয় ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তার ভিত্তিতে তৎপর হয় পুলিশ।
শুধু রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দেওয়াই নয়, দূরদূরান্ত থেকে আসা রোগীদের হাসপাতালের চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া, চিকিৎসা পরিষেবার বন্দোবস্ত করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিতেন অভিযুক্তেরা। বেশির ভাগ সরকারি হাসপাতালেই চিকিৎসার জন্য রোগীদের লম্বা লাইন পড়ে। সেই লাইন টপকে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হত। বদলে নেওয়া হত মোটা টাকা।
উল্লেখ্য, কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালেই রোগীদের লম্বা লাইন পড়ে। বহু সময়ে হাসপাতালে শয্যার অভাবে ফিরিয়ে দেওয়া হয় রোগীকে। অন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ঘুরতে হয় রোগীদের। এই সমস্যা এড়াতে অনেকেই এই সমস্ত দালালদের খপ্পরে পড়েন। রোগীকে ভর্তি করানোর জন্য বা চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনেকেই তাঁদের টাকা দিয়ে বসেন। এ বার এই দালালচক্র বন্ধ করতে তৎপর হয়েছে কলকাতা পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy