কলকাতার কোন ওয়ার্ডে, কী কাজ বাকি আছে, তা জানতে প্রতিটি বরোয় গিয়ে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল আগেই। শনিবার তারই প্রথম বৈঠক হল পুরসভার ১৬ নম্বর বরোয়।
পুরসভার পক্ষ থেকে এ ধরনের বৈঠকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘পৌর প্রশাসনিক বৈঠক’। পুরসভা সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী গত কয়েক বছর ধরে জেলায় জেলায় যে ধরনের প্রশাসনিক বৈঠক করে চলেছেন, এ বার পুর এলাকাতেও তা শুরু করলেন কলকাতার মেয়র। পুর কমিশনার খলিল আহমেদ, মেয়র ফিরহাদ হাকিম, দুই বিশেষ কমিশনার, পুরসভার সচিব-সহ সব দফতরের ডিজি, চিফ ম্যানেজারেরা হাজির ছিলেন বৈঠকে। উপস্থিত হতে বলা হয়েছিল সংশ্লিষ্ট বরোর কাউন্সিলর, বরোর অফিসার এবং ইঞ্জিনিয়ারদের।
পুরসভা সূত্রের খবর, পানীয় জল সরবরাহ, জঞ্জাল অপসারণ এবং নিকাশির সুষ্ঠু ব্যবস্থায় ঘাটতি রয়েছে কি না, প্রথমেই কাউন্সিলরদের মুখ থেকে তা জানতে চান মেয়র। তিনি বলেন, ‘‘বরোর ১৪২, ১৪৩ এবং ১৪৪ ওয়ার্ড আগে গ্রাম পঞ্চায়েতে ছিল। ফলে অন্য ওয়ার্ডের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে। ওই এলাকা কলকাতার অন্য ওয়ার্ডের মতো করে গড়তে নজর দেওয়া হবে।’’ এর পরেই একের পর এক কাউন্সিলর জানাতে থাকেন নিজের এলাকায় কোন কাজ বাকি।
খাদ্যসাথী প্রকল্পের জন্য রেশন কার্ডের প্রসঙ্গও ওঠে। কাউন্সিলরদের পক্ষ থেকে বলা হয় সংযোজিত তিনটি ওয়ার্ডের অনেকেই রেশন কার্ড পাননি, কেউ আবার কার্ড পেলেও রেশন পাচ্ছেন না। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের প্রধান সচিবের সঙ্গে কথা বলতে নির্দেশ দেন পুর কমিশনারকে। বৈঠক থেকেই খাদ্য দফতরে যোগাযোগ করে কার্ড না পাওয়ার কারণ খতিয়ে দেখতে বলা হয়। একই সঙ্গে রেশন না পাওয়ার কারণ নিয়েও খোঁজ শুরু হয়েছে।
নিকাশি ব্যবস্থার ঢিলেমি প্রসঙ্গও উঠেছে এ দিন। অনেক সময় কেইআইআইপি কাজের গতিপ্রকৃতি না জানানোয় অসুবিধায় পড়তে হয় পুরসভাকে, এমন অভিযোগও উঠেছে। ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে পুর পরিষেবা। বৈঠকে মেয়রের নির্দেশ, কেইআইআইপি কোন কাজ কখন শুরু ও শেষ করছে তা কাউন্সিলরদের জানাতে হবে।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy