—প্রতীকী চিত্র।
স্কুলপড়ুয়াদের মধ্যেও ক্রমশ বাড়ছে কনজাংটিভাইটিস। তাই এ বার স্কুলে নোটিস দিয়ে পড়ুয়াদের এই রোগ নিয়ে সাবধান করা শুরু হল। শিক্ষকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কনজাংটিভাইটিসের প্রধান উপসর্গ— লাল চোখ নিয়েই স্কুলে আসছে অনেক পড়ুয়া। কারও কারও আবার ক্লাস করতে করতেই উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। সে ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে তাকে বা তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাই এ নিয়ে পড়ুয়ার অভিভাবকদের আরও বেশি সচেতন হওয়া দরকার বলে জানাচ্ছেন শিক্ষকেরা। যদিও শহরের চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই রোগ নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে কনজাংটিভাইটিস হলে ওই পড়ুয়াকে দিন সাতেক স্কুলে না পাঠানোর পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
রামমোহন মিশন হাইস্কুলের অধ্যক্ষ সুজয় বিশ্বাস জানান, তাঁদের স্কুলে সম্প্রতি রোজ সাত-আট জন করে পড়ুয়ার এই রোগ ধরা পড়ছিল। তাই এ নিয়ে সচেতন করতে নোটিস দিতে হয়েছে। অভিভাবকদের অনুরোধ করা হয়েছে, যাতে পড়ুয়ার মধ্যে এই রোগের উপসর্গ দেখা দিলে তাকে স্কুলে পাঠানো না হয়। শিয়ালদহ টাকি গার্লসের প্রধান শিক্ষিকা শম্পা চক্রবর্তী জানান, তাঁদের স্কুলেও রোজ আট-দশ জনের কনজাংটিভাইটিস ধরা পড়ছে। অনেকেই উপসর্গ নিয়ে স্কুলে আসছে। সে ক্ষেত্রে তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অভিভাবকদের বার বার সচেতন করা হচ্ছে, যাতে তাঁরা এই অবস্থায় ছেলেমেয়েকে স্কুলে না পাঠান। শিক্ষকদের মতে, দীর্ঘদিন ছুটির পরে অনেক অভিভাবকই চাইছেন না যে, ছেলেমেয়ে ক্লাসে অনুপস্থিত থাকুক। ফলে উপসর্গ নিয়েও তাদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন তাঁরা।
শহরের চক্ষু চিকিৎসক সিদ্ধার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘কনজাংটিভাইটিস হলে কোনও ভাবেই যেন পড়ুয়ারা স্কুলে না আসে। স্কুল থেকেই এই রোগ আরও ছড়াতে পারে। সেই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে, বার বার যেন ছোটরা সরাসরি চোখে হাত না দেয়। চোখ মুছতে গেলে বা হাত দিতে গেলে কোনও নরম কাপড় বা তুলো ব্যবহার করলে ভাল। সেটি এক বার ব্যবহার করেই ফেলে দিতে হবে। বার বার ঠান্ডা জল দিয়ে চোখ ধুতে হবে। স্কুল চলাকালীন কারও চোখ লাল হওয়া বা জল পড়া, চোখে পিচুটি দেখা গেলে তাকে সিক রুমে রাখলে ভাল হয়।” তিনি আরও জানান, এই রোগ সম্পূর্ণ সারতে দিন সাতেক সময় লাগে। আর এক চক্ষু চিকিৎসক অভ্রজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই স্কুল থেকে পড়ুয়াদের মধ্যে এই রোগ ছড়িয়েছে। রোগ নিয়ে স্কুলে যাওয়ার দরকার নেই। তবে পরীক্ষা থাকলে আলাদা ঘরে তা দেওয়া যায়। পুলে সাঁতার কাটাও এই সময়ে বন্ধ রাখা দরকার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy