দেবাঞ্জন দেব। ফাইল চিত্র
কয়েকটি মামলায় তাঁর মক্কেলের জামিন মঞ্জুর হলেও দেখা দিয়েছে আর্থিক সঙ্কট। জামিনের শর্ত অনুযায়ী, আদালতের ধার্য করা বেল বন্ড এবং শিওরিটির টাকাও জোগাড় করা যাচ্ছে না বলে দাবি কসবার ভুয়ো প্রতিষেধক-কাণ্ডে ধৃত দেবাঞ্জন দেবের আইনজীবী দিব্যেন্দু ভট্টাচার্যের।
আদালত সূত্রের খবর, দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন থানায় মোট ১১টি মামলা রুজু করা হয়েছিল। তার মধ্যে আটটি মামলায় জামিন মঞ্জুর হয়েছে অভিযুক্তের। তবে কসবা থানায়
দায়ের হওয়া দু’টি মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হওয়ার মুখে। আলিপুর আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক (১৪)-র এজলাসে মাসখানেকের মধ্যেই তা শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।
বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছে দেবাঞ্জন। জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মামলার অন্য অভিযুক্তদের থেকে তাকে আলাদা রাখা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে জেলে গিয়ে দেবাঞ্জনকে জেরা
করছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) তদন্তকারীরা। আইনজীবীদের একাংশ জানাচ্ছেন, এক সময়ে যে ব্যক্তি বিলাসবহুল গাড়ি এবং নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে ঘুরত, খুলে বসেছিল একাধিক অফিস, মাত্র ছ’মাসের মধ্যে তার সেই ভুয়ো কারবার ফাঁস হয়ে যায়। তাঁদের বক্তব্য, বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাওয়ায় জেল থেকে বেরিয়ে আসা দেবাঞ্জনের পক্ষে কার্যত অসম্ভব। একাধিক গুরুতর অপরাধের ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। যেগুলির অধিকাংশই যাবজ্জীবন শাস্তিযোগ্য। এর পরে ইডি-ও দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
দিব্যেন্দুবাবু বলেন, ‘‘আমার মক্কেলের মা-বাবা দু’জনেই অসুস্থ। দেবাঞ্জনের একমাত্র বোন একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করতেন। ওই ঘটনার পরে তাঁরও চাকরি চলে গিয়েছে। দেবাঞ্জনের বাবা পেনশন বাবদ যে ২৭ হাজার টাকা পান, তাতে সংসার চলছে না। আমার মক্কেল ও তাঁর পরিজনদের সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিল করে দেওয়া হয়েছে।’’
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে কসবায় ভুয়ো প্রতিষেধক শিবির চালানোর অভিযোগে দেবাঞ্জনকে গ্রেফতার করেছিল কসবা থানার পুলিশ। তদন্তে উঠে আসে, সে কলকাতা পুরসভার যুগ্ম কমিশনার হিসাবে পরিচয় দিয়ে ওই শিবির চালু করেছিল। সেখানে করোনার প্রতিষেধক বলে যা দেওয়া হয়েছিল, তা আদৌ কী ছিল, সেটা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। দেবাঞ্জনকে গ্রেফতারের পরে ঘটনার তদন্তভার নেয় লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ।
পুলিশ সূত্রের খবর, ভুয়ো প্রতিষেধক-কাণ্ডে দেবাঞ্জন-সহ আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। দেবাঞ্জনের প্রভাবশালী-যোগের পাশাপাশি কয়েক কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ সামনে আসে। আদালতের নির্দেশ মতো কলকাতা পুলিশের পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে নামে ইডি-ও। সংস্থার এক কর্তা বলেন, ‘‘দেবাঞ্জনের বাড়ি ও অফিস থেকে বেশ কিছু ভয়েস কল রেকর্ড মিলেছে। যেখানে
দেবাঞ্জনের সঙ্গে শাসক দলের এক সংসদ এবং সোনারপুরের এক শ্রমিক নেতার যোগাযোগ স্পষ্ট হয়েছে।’’ তবে তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, প্রভাবশালী-যোগ স্পষ্ট হওয়া সত্ত্বেও
কাদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল, তা নিয়ে মুখ খুলছে না দেবাঞ্জন। তদন্তকারী সংস্থার এক কর্তা বলেন, ‘‘সমস্ত বিষয়ে আদালতে রিপোর্ট দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy