Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
Kolkata news

কমাতে হবে অতিরিক্ত ভার, শিয়ালদহ সেতুতে পণ্যবাহী ভারী যান নিষিদ্ধ করার সুপারিশ

সেতুর স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার করার জন্য যে মেরামত প্রয়োজন তার জন্য সময় লাগবে অন্তত ১৫ দিন। এমনটাই মত রাজ্য সরকারের সেতু বিশেষজ্ঞ কমিটির।

বিদ্যাপতি সেতু। —ফাইল চিত্র।

বিদ্যাপতি সেতু। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১২:২১
Share: Save:

ভারী পণ্যবাহী যান চলাচলের জন্য আদৌ উপযুক্ত নয় বিদ্যাপতি(শিয়ালদহ) সেতুর স্বাস্থ্য। সেই সঙ্গে উড়ালপুলের ভার লাঘব করার জন্য কমাতে হবে বিটুমিনের মোটা প্রলেপ। সেতুর স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার করার জন্য যে মেরামত প্রয়োজন তার জন্য সময় লাগবে অন্তত ১৫ দিন। এমনটাই মত রাজ্য সরকারের সেতু বিশেষজ্ঞ কমিটির।

গত মাসের ১৫ অগস্ট থেকে ১৮ অগস্ট পর্যন্ত শিয়ালদহ সেতুর মধ্যস্থল অর্থাৎ মহাত্মা গাঁধী রোড এবং বেলেঘাটা মেন রোড সংযোগকারী দু’টি র‌্যাম্পের মাঝের অংশে যান চলাচল বন্ধ রেখে স্বাস্থ্য অডিট করেন বিশেষজ্ঞরা। কেএমডিএ সূত্রে খবর, সেই অডিট রিপোর্ট নিয়েই সোমবার বৈঠক করেন রাজ্য সররকারের ব্রিজ অ্যাডভাইসরি কমিটির সদস্যরা। সেই বৈঠকেই বিশেষজ্ঞরা সেতুর ভগ্ন স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

সূত্রের খবর, সেতুর চারদিনের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তৈরি হওয়া রিপোর্টে সেতুর ভার বহন ক্ষমতা আগের তুলনায় অনেকটাই কমে গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে সেতুর উপরে থাকা স্থায়ী ভার নিয়েও।

আরও পড়ুন: গুজরাতের উপকূলে একাধিক সন্দেহজনক বোট, হামলার আশঙ্কায় জারি সতর্কতা

সূত্রের খবর, রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, বিভিন্ন সময়ে, মাঝেরহাট সেতুর মতোই শিয়ালদহ সেতুর উপর মেরামত করতে গিয়ে বিটুমিনের আস্তরণের উপর নতুন প্রলেপ পড়েছে। পর পর ওই প্রলেপে সেতুর উপর বিটুমিনের আস্তরণ মোটা হয়ে গিয়ে ভার বাড়িয়েছে সেতুর। এক বিশেষজ্ঞের কথায়, কোনও কোনও অংশে সেতুর উপর বিটুমিনের আস্তরণ ৪০ থেকে ৫০ মিমি মোটা হয়ে গিয়েছে। ওই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘‘বিটুমিনের প্রলেপ ৪০ থেকে ৫০ মিমি মোটা হলে সেতুর উপর প্রতি বর্গফুটে অতিরিক্ত প্রায় ২০ কিলোগ্রাম ভার বৃদ্ধি পায়।” তিনি মাঝেরহাট সেতুর কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন,‘‘ মাঝেরহাট সেতুতেও ঠিক ওই ভাবেই বেড়ে গিয়েছিল অতিরিক্ত ভার। সেই সঙ্গে ছিল পরিত্যক্ত ট্রাম লাইনের ভার।” শিয়ালদহ সেতুতেও একই ভাবে বিটুমিনের অতিরিক্ত প্রলেপের সঙ্গে রয়েছে ট্রাম লাইন।

আরও পড়ুন: নাগরিকপঞ্জি থেকে বাদ পড়াদের পাশের রাজ্যে ঢুকতে দেওয়া হবে না, হুঁশিয়ারি অমিত শাহের

বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ, অবিলম্বে সেতুর ওই ট্রাম লাইন সরাতে হবে। সঙ্গে সেতুর ওই অতিরিক্ত বিটুমিনের প্রলেপ চেঁছে ফেলে ‘ট্রিম’ করে হালকা করতে হবে সেতুকে। সেতুর কয়েকটি স্তম্ভেরও মেরামত করা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞদের মতে ওই কাজ করতে কমপক্ষে ১৫ দিন সময় প্রয়োজন।

আর সেই সম্ভবনার কথা ভেবেই আশঙ্কা পুলিশের। কারণ কলাকাতার উত্তর-দক্ষিণ সংযোগকারী এই সেতু গোটা কলকাতার যানের একটা বড় ভার বহন করে। সেই সেতু ১৫ দিন বন্ধ রাখতে হলে যে বিকল্প ব্যবস্থা প্রয়োজন তা অনেকটাই অপ্রতুল। ফলে ব্যপক যানজটের আশঙ্কা। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময়ে চারদিনের মধ্যে তিনদিনই ছিল কার্যত ছুটি। ফলে সপ্তাহের কাজের দিনের যে চাপ তা বিকল্প ব্যাবস্থায় সামলাতে হয়নি। সেতুর স্বাস্থ্যোদ্ধারের কাজ কবে হবে তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না হলেও, পুজোর আগে হওয়ার সম্ভবনা নেই বলে জানা যাচ্ছে কেএমডিএ সূত্রে।

অন্য বিষয়গুলি:

Vidyapati Setu Sealdah
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy