দিলীপ ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না মুখোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র
নেতাজিনগরে বৃদ্ধা খুনের ঘটনায় ক্রমশই জাল গোটাচ্ছেন গোয়েন্দারা। ওই এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে কয়েক জন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। ঘটনার দিন রাত ১০টার আশেপাশে ওই বাড়ি সংলগ্ন রাস্তায় তাঁদের ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। আরও একটি সূত্রে কয়েকজনের নামও জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। যাঁরা ওই বৃদ্ধ দম্পতির ঘনিষ্ঠ এবং পরিচিত। বুধবার সকাল থেকেই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই তালিকায় রয়েছে দুই প্রোমোটারও।
সোমবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১২টার মধ্যে দিলীপ ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না মুখোপাধ্যায়কে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। পরিচিত ব্যক্তিকে দেখেই দরজা খুলে দেন বৃদ্ধা স্বপ্নাদেবী। সময় নষ্ট না করে বৃদ্ধাকে সিড়িতেই শ্বাসরোধ করে খুন করে আততায়ী। তার পর উপরের ঘরে গিয়ে বৃদ্ধ দিলীপকে টার্গেট করে তারা।
খুনের পর ঘরে থাকা ১১টি আলমারি খোলার চেষ্টা শুরু হয়। গোয়েন্দাদের অনুমান, খুনের সময় ওই বাড়িতে তিন থেকে চার জন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আততায়ীরা জানত, কোনও একটি আলমারিতে নগদ টাকা রয়েছে। রয়েছে সোনা-গয়নাও। ওই টাকা হাতাতেই আততায়ীরা হানা দিয়েছিল বলে অনুমান গোয়েন্দাদের।
গত এক সপ্তাহ আগে ওই বাড়িতে প্লাস্টারের কাজে এসেছিলেন কয়েক জন মিস্ত্রি। এক ঠিকাদারের হয়ে তাঁরা কাজে এসেছিলেন। এ ছাড়াও এক রং মিস্ত্রিও সেখানে কাজ করে গিয়েছেন। সন্দেহের তালিকায় মিস্ত্রিরা প্রথম দিকে রয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েক জনকে জেরা করা হলেও বেশ কয়েক জনের হদিশ মিলছে না। মোবাইলও সুইচড্ অফ। দিলীপবাবু নিজেও বাড়ি রং করার কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার একটি কোম্পানিও ছিল। সেই সূত্রে মিস্ত্রিদের সঙ্গে তাঁর বহু দিনেরই পরিচিতি রয়েছে।
আরও পড়ুন: বনবাসী উচ্ছেদের নির্দেশে স্থগিতাদেশ
বর্তমান পরিচারিকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, বাড়িতে কাজ করার সময় অনেকটাই খোলামেলা ভাবে মিশতেন ওই দম্পতি। মিস্ত্রিদের সামনেই আলমারি খুলে টাকাপয়সা বের করতেন। এই খুনের বিষয়ে পুলিশ এক স্থানীয় কলমিস্ত্রির সঙ্গেও কথা বলছেন। তিনি ঘটনার পর দিন সকালে ওই বাড়িতে ডাকাডাকি শুরু করেন। ওই বাড়ির নীচেই রয়েছে একটি ইস্ত্রির দোকানও। যাঁর ওই দোকান তাঁকে জেরা করা হচ্ছে। তিনি ওই পরিবারের বেশ ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তাঁকে ওই বাড়িতে সম্প্রতি কাদের যাতায়াত বেশি ছিল, তা জানার চেষ্টা চলেছে।
এ ছাড়াও স্থানীয় এক যুবকও সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন। ওই যুবক দরকারে দিলীপবাবুর বিভিন্ন কাজ করে দিতেন। ওই বাড়ির চত্বরে কিছুটা দূরে থাকতেন এক মহিলা। তিনি কয়েক বছর আগে আয়ার কাজ করতেন ওই বাড়িতেই। তাঁকে থাকার জায়গা করে দিয়েছিলেন দিলীপবাবু। ওই দম্পতিকে দেখাশোনার পাশাপাশি অন্য জায়গাতেও আয়ার কাজ করতে যেতেন। গত ছ’মাস ধরে দিলীপবাবু চলাফেরায় অক্ষম হয়ে যাওয়ায় এক ফিজিওথেরাপিস্টও ওই বাড়িতে আসতেন। তাঁর সঙ্গেও কথা বলছে পুলিশ। কোনও সিন্ধান্তে পৌঁছনোর আগে সব দিকই খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন: স্পা-এর আড়ালে দেহব্যবসা, বালিগঞ্জে তাইল্যান্ডের দুই তরুণী-সহ গ্রেফতার ৮
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy