Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Murder

‘আই হোল’ বন্ধ, ঘরে ঢুকে নৃশংস ভাবে মা ও মেয়েকে খুন, ৮ বছর পর তদন্তভার সিআইডিকে

২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ ফেরেন সৌমেন্দ্রনাথ। দেখেন ঘরের দরজা খোলা। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন স্ত্রী আর মেয়ে। রাত পৌনে ১০টা নাগাদ দমদম থানায় খবর দেন তিনি।

খুনের ৮ বছর পর তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দিল কলকাতা হাই কোর্ট।

খুনের ৮ বছর পর তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২২ ২২:২৮
Share: Save:

ঘরে ঢুকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয় মা-মেয়েকে। তখন বাড়িতে ছিলেন না গৃহকর্তা। ফিরে এসে সেই দৃশ্য দেখে চমকে যান। খবর দেন থানায়। তার পর কেটে গিয়েছে আট বছর। এখনও সুরাহা হয়নি রহস্যের। অবশেষে সেই খুনের তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দিল কলকাতা হাই কোর্ট।

দমদম ক্যান্টনমেন্টে স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে থাকতেন সৌমেন্দ্রনাথ গুনিন। চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর প্রতি শনিবার বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে যেতেন তিনি। ২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারিও গিয়েছিলেন। বাড়িতে ছিলেন স্ত্রী আর মেয়ে। ওই দিন রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ ফেরেন সৌমেন্দ্রনাথ। দেখেন ঘরের দরজা খোলা। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন স্ত্রী আর মেয়ে। রাত পৌনে ১০টা নাগাদ দমদম থানায় খবর দেন তিনি। পুলিশ এসে দেখে, দরজার ‘আই হোল’ বাইরে থেকে কেউ বন্ধ করে দিয়েছে।

এর পর আট বছর কেটে গিয়েছে। তদন্তে কিছুই জানা যায়নি। মাঝে এক বার মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রবীণ সৌমেন্দ্রনাথ। ২০১৫ সালে ব্যারাকপুর আদালত পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেয়। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসি পদমর্যাদার এক অফিসারের নেতৃত্বে ওই তদন্ত হবে বলেও জানায় আদালত। তাতেই খুনের কিনারা হয়নি।

শেষমেশ কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেন সৌমেন্দ্রনাথ। সেই আবেদনের নিরিখে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থাসোমবার সিআইডিকে তদন্তভার দিলেন তিনি। আদালতের নির্দেশ, আগামী তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে তদন্ত।

অন্য বিষয়গুলি:

Murder Calcutta High Court CID
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy