পোলবায় দুর্ঘটনাগ্রস্থ গাড়ি।—ফাইল চিত্র।
নথিপত্র ঠিক রাখা, পড়ুয়াদের সুরক্ষায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা-সহ বিভিন্ন নিয়ম স্কুলগাড়ি এবং স্কুলবাসগুলি মানছে কি না এবং তাদের শৃঙ্খলায় বাঁধতে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে স্কুলগুলি, তা জানতে চাইল স্কুলশিক্ষা দফতর। স্কুলগুলিকে বলা হয়েছে, সাত দিনের মধ্যে ওই রিপোর্ট কলকাতা জেলা স্কুল পরিদর্শকের দফতরে পাঠাতে হবে। বিকাশ ভবন সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই জেলা স্কুল পরিদর্শকের এই নির্দেশ ইমেল মারফত পৌঁছে গিয়েছে সব স্কুলে। স্কুলগুলি থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পরেই তাদের সঙ্গে বৈঠক করবে স্কুলশিক্ষা দফতর। শিক্ষা দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘ছাত্রছাত্রীদের সুরক্ষার জন্য আমরা বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছি স্কুলগুলিকে। সেই নির্দেশ যাতে মানা হয়, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।’’
গত মাসে হুগলির পোলবায় স্কুলগাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক খুদে পড়ুয়ার। তার পরেই স্কুলগাড়িকে নিয়ন্ত্রণে আনতে নড়ে বসে প্রশাসনের শীর্ষ মহল। গত শুক্রবার নবান্নে স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠক হয়। সেখানে পরিবহণ দফতরের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে পুলিশ ও শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে তৈরি হয় টাস্ক ফোর্স। শিক্ষা দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘স্কুলবাস ও স্কুলগাড়ি নিয়ে পৃথক নিয়ম রয়েছে পুলিশ, পরিবহণ এবং স্কুলশিক্ষা দফতরের। নবগঠিত টাস্ক ফোর্স সেই নিয়ম খতিয়ে দেখে বেআইনি স্কুলগাড়িগুলিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে নির্দেশিকা তৈরি করবে। কিন্তু সবার আগে আমরা গোড়ায় নজর দিতে চাইছি। যে সব স্কুলগাড়িতে চেপে ছাত্রছাত্রীরা আসে, তাদের সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবকদের সমন্বয় যাতে ঠিক মতো হয়, সে ব্যাপারে স্কুলগুলিকে উদ্যোগী হতে বলা হয়েছে।’’
জেলা স্কুল পরিদর্শকের ওই নির্দেশের পরেই অভিভাবক এবং স্কুলগাড়ির চালক-মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিভিন্ন স্কুল। সেখানে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়েছে পুলিশকেও। সূত্রের খবর, আজ মঙ্গলবার ভবানীপুরের ইউনাইটেড মিশনারি স্কুলের তরফে অভিভাবক, স্কুলের প্রতিনিধি, স্কুলগাড়ির চালক-মালিক এবং পুলিশকে নিয়ে ওই বৈঠক হবে। সেখানে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে অভিভাবক এবং স্কুলগাড়ির চালকদের সচেতন করবেন পুলিশের আধিকারিকেরা।
নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে বেথুন কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শাশ্বতী অধিকারী বলেন, ‘‘যে সব পুলকারে আমাদের ছাত্রছাত্রীরা আসে, তাদের মালিকদের বলা হয়েছে গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট থেকে শুরু করে সমস্ত কাগজপত্র দেখাতে। মঙ্গলবার তা দেখার কথা।’’ বেলতলা গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অজন্তা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরাও স্কুলগাড়ি চালকদের বলেছি তাঁদের ড্রাইভিং লাইসেন্স-সহ সমস্ত প্রয়োজনীয় নথির প্রতিলিপি জমা দিতে।’’
পুলিশ জানিয়েছে, বিভিন্ন স্কুলের এমন উদ্যোগকে তারা সাধুবাদ জানাচ্ছে। পথে চলার ক্ষেত্রে পুলকার এবং স্কুলবাসের কী কী নিয়ম মেনে চলা উচিত, তা আজকের বৈঠকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy