রাজভবনেও হবে শততম ‘মন কি বাত’-এর উৎসব। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মন কি বাত’ শুনতে আগামী রবিবার সকালে রাজভবনে আসতে পারেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এবং সিবিআই কর্তারা। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের পক্ষে প্রতিটি রাজ্যের সঙ্গে সঙ্গে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দায়িত্বে থাকা বাংলার প্রধানদের কাছেও গিয়েছে আমন্ত্রণ। আমন্ত্রিতদের যে তালিকা আনন্দবাজার অনলাইনের হাতে এসেছে তা অনুযায়ী, সব ঠিক থাকলে অন্য অতিথিদের সঙ্গে সেখানে দেখা যেতে পারে ওই দুই সংস্থার প্রধানদেরও।
মোদীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের শততম পর্ব আগামী রবিবার। সেই আয়োজন ঘিরে দেশ জুড়ে উৎসবের পরিবেশ তৈরি করতে চলেছে বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের সর্বত্র বিজেপির উদ্যোগে যেমন বুথে বুথে হবে অনুষ্ঠান সম্প্রচারের আয়োজন, তেমনই সরকারের তরফে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ সময়ে ৯৯টি পর্বে মোদী দেশের যে সব ব্যক্তি এবং সংস্থার কথা তাঁর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে উল্লেখ করেছেন তাঁদের সকলকে ডাকা হয়েছে দিল্লিতে। চার দিনের সম্মেলন শুরু বুধবার। অন্য দিকে, প্রতিটি রাজ্যের রাজভবনে হবে অনুষ্ঠান সম্প্রচার। সেখানে বিভিন্ন ক্ষেত্রের কৃতীদের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ বিভিন্ন সংস্থার কর্তাদেরও ডাকা হয়েছে।
এই অনুষ্ঠান আয়োজন করছে রাজভবন। তবে কাদের ডাকা হবে তা প্রধানমন্ত্রীর দফতর ঠিক করে দিয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। সকলকে আমন্ত্রণ জানানোর দায়িত্ব প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরো (পিআইবি)-র। তবে রাজ্য পিআইবি কর্তারা কেউই এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। পিআইবি সূত্রে নিমন্ত্রণের যে তালিকা পাওয়া গিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, ইডি এবং সিবিআই প্রধানের নাম রয়েছে। সেই সঙ্গে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী থেকে আইআইটি খড়্গপুরের ডিরেক্টর বীরেন্দ্রকুমার তিওয়ারির নাম রয়েছে। সেই তালিকায় রেল থেকে বন্দর কর্তাদেরও নাম রয়েছে।
নৃত্যশিল্পী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়, চলচ্চিত্র পরিচালক সন্দীপ রায়, পর্বতারোহী পিয়ালি বসাক, ব্যাডমিন্টন খেলোয়ার ঋতুপর্ণা দাসের নামও রয়েছে আমন্ত্রিতদের তালিকায়। সেই সঙ্গে বাংলা থেকে কেন্দ্রের মন্ত্রী হওয়া নিশীথ প্রামাণিক, জন বার্লা, সুভাষ সরকার এবং শান্তনু ঠাকুরও রাজভবনে গিয়ে মোদীর মনের কথা শোনার আমন্ত্রণ পেয়েছেন। রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ৭৫ জন ব্যক্তিকে রবিবার সকালে হাজির হতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে কত জন উপস্থিত থাকবেন সে বিষয়ে এখনও অন্ধকারে রাজভবন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy