দুর্ভোগ: নালা আটকে এমনই অবস্থা দত্তাবাদে। সোমবার। নিজস্ব চিত্র
নিকাশি নালার উপরেই রয়েছে একাধিক ঘর। নালা সাফ করার উপায় নেই। সেই নালা রুদ্ধ হয়ে অল্প বৃষ্টিতেই জল জমে গেল বিধাননগরের দত্তাবাদে।
পুর এলাকার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে দত্তাবাদের আনন্দপুরে সোমবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন স্থানীয় কাউন্সিলর নির্মল দত্ত। দখলদারির সমস্যা স্বীকার করে নিয়ে তিনি জানান, পুরসভাকে আগেই বিষয়টি জানানো হয়েছে। এ দিন খবর পেয়েই জল সরানোর কাজে নামে পুরসভা। বিকেলের পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, এই সমস্যা নতুন নয়। কিন্তু সমস্যা হলেও স্থায়ী সমাধান হয় না। যদিও পুরসভার একাংশের দাবি, লাগাতার সচেতনতার প্রচার চালিয়েই সমস্যার সমাধান হবে। নিকাশি নালার উপরে দখলদারি রুখতে বাসিন্দাদের সহযোগিতার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।
রবিবার থেকেই অল্পঅল্প বৃষ্টি হতে শুরু করে। সোমবার দেখা যায়, ওই অল্প বৃষ্টিতেই পুর এলাকার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে আনন্দপুরে রাস্তায় জল দাঁড়িয়ে যায়। খবর পেয়ে পুরকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, নিকাশি নালার উপরেই একাধিক ঘর তৈরি হয়ে রয়েছে। অর্থাৎ, সেই নালা সাফ করার উপায় নেই। শেষে একটি বাড়ির পিছন দিক থেকে নালার মুখ পর্যন্ত খুঁড়তে হয় পুরকর্মীদের। তার পরে জমা জল সরাতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, বারবার জল জমলেও স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না। স্থানীয় কাউন্সিলরের অভিযোগ, নালার উপরেই ঘরবাড়ি তৈরি হয়ে যাচ্ছে। ফলে অন্য অংশে নিয়মিত সাফাই হলেও দখলদারির অংশ সাফ করার উপায় থাকছে না। যার জেরে অনেক সময়ে জল জমে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। দখলদারির বিষয়ে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। দখলদারির সমস্যা না মিটলে জল জমার সমস্যাও মিটবে না বলেই মনে করছেন পুরকর্মীদের একাংশ।
তবে মেয়র পারিষদ (নিকাশি) দেবাশিস জানা বলেন, ‘‘বারবার সচেতন করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু তাতেও একাংশের হুঁশ ফিরছে না। আখেরে সকলকেই দুর্ভোগ পোয়াতে হচ্ছে। তবে লাগাতার সচেতনতার প্রচার চালিয়েই সমস্যা মেটানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy