নিজের হাতে আঁকা ছবির সঙ্গে শিল্পী অয়ন দত্ত।
সিলেটে ১৯২৭ সালে জন্ম শিল্পী রণেন আয়ন দত্তর। শৈশবেই এ-পার বাংলায় পাড়ি; প্রধানত বাবার উৎসাহে সরকারি আর্ট স্কুলে ভর্তি হওয়া। প্রায় একশো ষাট বছরের পুরনো এই মহাবিদ্যালয় যথার্থই শিল্পের তীর্থক্ষেত্র— তৎকালীন গভর্নমেন্ট স্কুল অব আর্ট— পার্সি ব্রাউন, ই বি হ্যাভেল, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নন্দলাল বসু, যামিনী রায়, মুকুল দে থেকে শুরু করে বহু দিকপাল শিল্পী, যাঁদের শিল্পযাপনে ভারতশিল্পের নবজাগরণের উন্মেষ হয়েছিল, তাঁদের আলোয় আলোকিত ছিল। আর্ট স্কুলের সেই কুশীলবদের অভিভাবকত্বে রণেন আয়ন দত্তের শিল্পচর্চা শুরু হয়। মাস্টারমশাই হিসাবে পেয়েছিলেন রমেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর পাশাপাশি জয়নুল আবেদিন, আনোয়ারুল হক, মাখন দত্ত গুপ্তদের।
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও যামিনী রায়ের শিল্পচর্চার প্রতি তিনি বিশ্বস্ত ছিলেন চিরকাল। মনে রাখতে হবে, এঁদের মধ্যে অবনীন্দ্রনাথ পশ্চিমি শিল্পীদের কাছে শিল্পের প্রথম পাঠ নিলেও, পরবর্তী কালে প্রাচ্যশিল্পের প্রতি আনুগত্য দেখান। আর যামিনী রায় শিল্পজীবনের প্রথম পর্বে পশ্চিমি প্রভাবে কাজ শুরু করলেও পরে স্বতন্ত্র এক ধারার জন্ম দিয়েছিলেন। রণেন আয়ন এই দুই ধারারই অনুগামী ছিলেন, তবে পশ্চিমি শিল্পধারার প্রতি অনুরাগ ছিল খানিক বেশি। ঋজু রেখা আর জলরঙের পেলব আলোছায়াপাতের সাহায্যে ছবিতে তাঁর গল্প বলার মুনশিয়ানা নজর এড়ায়নি অগ্রজ শিল্পী অন্নদা মুন্সীর। অন্নদাবাবুর ‘প্রবেশিকা’ সংস্থায় যোগদানের সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর বিজ্ঞাপন জগতেও প্রবেশ ঘটে। পেশাদার জীবনে প্রবেশিকা-র পরে মুম্বইয়ের নামকরা সংস্থার হয়ে করেন বিজ্ঞাপনে যুগান্তকারী কাজ।
যে সময় আর্ট স্কুলের স্বনামধন্য অগ্রজ সমরেন্দ্রনাথ ঘোষ এবং অনুজ বিনয় সরকার বাংলা তথা ভারতের বিজ্ঞাপন-জগতে স্বর্ণস্বাক্ষর রেখে যাচ্ছেন, সে সময়েই ঋজু রেখা ও ইউরোপীয় জলরঙের ধারার দাপট রনেন আয়নকে বিজ্ঞাপন জগতে বসিয়ে দেয় আদরের আসনে। দীর্ঘ পেশাদারি জীবন কাটানোর পর ১৯৭৪-এ গড়ে তোলেন নিজস্ব সংস্থা, বিজ্ঞাপনের ছবির পাশাপাশি দিল্লি ও মুম্বইয়ে শিল্প মেলার প্যাভিলিয়নের নকশা, কর্পোরেট সংস্থার মিউজ়িয়ম তৈরি এবং সিনেমার বিজ্ঞাপনের যুগান্তকারী কাজের স্বাক্ষর রাখেন। ঝকঝকে উপস্থিতি আর ছবি আঁকার জাদুকরি দক্ষতা, দুইয়ে মিলে রণেন আয়নকে করে তুলেছিল অনন্য, তাঁর অন্যতম বিজ্ঞাপনী প্রচার ‘মেড ফর ইচ আদার’-এর মতো।
খ্যাত ইস্পাত বা বৈদ্যুতিক সামগ্রী নির্মাণকারী সংস্থার সামগ্রী থেকে মাথার তেলের দারুণ স্টোরিবোর্ড; আনন্দবাজার পত্রিকা, দেশ-সহ নানা পত্রপত্রিকায় আঁকা অজস্র ছবি; অদ্বৈত মল্লবর্মণের তিতাস একটি নদীর নাম, অবধূতের কালীতীর্থ কালীঘাট, প্রবোধকুমার সান্যালের অগ্নিসাক্ষী প্রভৃতি বইয়ের সুদৃশ্য প্রচ্ছদ; কাবুলিওয়ালা, ছুটি, হারানো সুর প্রভৃতি ছবির প্রচার-অঙ্কন কীর্তি তাঁর— স্টেট ব্যাঙ্কের আর্কাইভ, শিপিং কর্পোরেশনের ভাসমান সংগ্রহশালাও। ফলিত ললিতকলা জগতের এই ‘প্রতিষ্ঠান’ চলে গেলেন গত ৩ মার্চ, সাতানব্বই বছর বয়সে। বিজ্ঞাপন জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র পতনের সাক্ষী রইল কলকাতা। ছবিতে তাঁর আঁকা অবনীন্দ্রনাথ, এক বিজ্ঞাপনী শ্রদ্ধার্ঘ্যে।
শতবর্ষের উৎপলা
শিল্পী, আবার শিল্পী-বন্ধুও। কলকাতায় কেউ চিনতেন না ভি বালসারাকে, কলেজ সোশ্যালগুলিতে ওঁকে একক হারমোনিয়াম-বাদক হিসেবে জায়গা করে দিলেন উৎপলা সেন (ছবি)। উস্তাদ বড়ে গোলাম আলির অর্থসঙ্কটে শহর ঘুরে টাকা জোগাড় করেছেন, মুম্বইয়ে লতা মঙ্গেশকরের রেকর্ডিং ডেট না পেয়ে সতীনাথ মুখোপাধ্যায় যখন কলকাতা ফিরতে উদ্যত, আটকেছেন ওঁকে। তার ফল বাঙালির অমল-অক্ষয় প্রাপ্তি ‘আকাশপ্রদীপ জ্বলে’। কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য সলিল চৌধুরীর তৈরি ‘প্রান্তরের গান আমার’ যখন রেকর্ডের অনুমতি পেল না, নির্দ্বিধ প্রত্যয়ে রেকর্ডে তা গাইলেন উৎপলা। ‘রাতের কবিতা শেষ করে দাও’, ‘মহুয়া বনে’, ‘এত মেঘ এত যে আলো’, বহু স্মরণীয় গানের গায়িকা, সতীনাথকে সঙ্গী করে ‘মাঝে নদী বহে রে’-র মতো অনবদ্য দ্বৈতগানে আসর মাত করেছেন দীর্ঘ কয়েক দশক। ১২ মার্চ ওঁর জন্মশতবর্ষ, বিড়লা অ্যাকাডেমিতে সন্ধ্যা ৫.৪৫-এ এক অনুষ্ঠানে কথায় গানে তাঁকে স্মরণ করবে সৃষ্টি পরিষদ।
কবিতার জন্য
এই সহস্রাব্দের গোড়ায় যাত্রা শুরু যাপনচিত্র পত্রিকার, অচিরেই প্রকাশনা, একই নামে। জন্মাবধি তার কাছে যোগ্য আদর সমকালীন কবিতাচর্চার— বাংলা, অন্য ভারতীয় বা বিদেশি ভাষার। তারই সুর ধরে গত বছর থেকে শুরু হয়েছে যাপনচিত্র উৎসব, নানা ভাষার কবিদের কবিতাপাঠ, আলোচনা, কাব্যনাট্য অভিনয়, কবিতার গান নিয়ে৷ এ বছর শুরু হল গতকাল সন্ধ্যায় শিশির মঞ্চে, ৯-১০ মার্চ উৎসব রাজা বসন্ত রায় রোডে কলকাতা ফাউন্ডেশন সেন্টারে, দুপুর ৩টা থেকে৷ ভারতের নানা প্রান্ত থেকে এসেছেন কবিরা, অস্ট্রেলিয়া থেকে কবি গ্রান্ট ক্যাডওয়েল। গুজরাতের কবি উমেশ সোলাঙ্কি পাবেন ‘যাপনচিত্র জাতীয় কবিতা সম্মান’, বাংলা কবিতার জন্য সম্মানিত হবেন পার্থজিৎ চন্দ, প্রচ্ছদশিল্পী সম্মানে শোভন পাত্র।
জন্মদিনে
ছত্রিশ বছরে পা কলকাতার নাট্যদল কথাকৃতি-র। গোড়া থেকেই নাট্য প্রযোজনা ছাড়াও কর্মশালা ও সেমিনার, পত্রিকা প্রকাশ, নাটকের প্রদর্শনী, সেই সঙ্গে ১৯৯৬ সাল থেকে নিয়মিত তারা আয়োজন করে এসেছে অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় স্মারক বক্তৃতা। সোফোক্লিস থেকে বাদল সরকার, রবীন্দ্রনাথ-দ্বিজেন্দ্রলাল থেকে বুদ্ধদেব বসু বা গিরিশ কারনাডের নাটকের মঞ্চায়ন আলাদা করে চিনিয়েছে তাদের। গতকাল অবনীন্দ্র সভাগৃহে হয়ে গেল ২৯তম অজিতেশ স্মারক বক্তৃতা ও আলোচনা; আজ তৃপ্তি মিত্র নাট্যগৃহে সন্ধ্যা ৬টা থেকে তিনটি ছোট প্রযোজনা; রবিবার একই সময়ে মিনার্ভা থিয়েটারে তাদের নিজস্ব প্রযোজনা একটা গল্প শুনবে (নির্দেশনা: সঞ্জীব রায়) ও বাদল সরকারের ত্রিংশ শতাব্দী।
সমাবর্তনে
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের স্মৃতিচিহ্নিত কৈলাস বোস স্ট্রিটের বাড়িতে ৪৬ বছর আগে শুরু সর্বভারতীয় সঙ্গীত ও সংস্কৃতি পরিষদের যাত্রা। সঙ্গীত, নৃত্য, অঙ্কন-সহ তাদের নানা কলার পাঠক্রম আজ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত, জনপ্রিয় বাংলায়, বহির্বঙ্গে; নানা দেশেও রয়েছে শাখা। অচিরেই পঞ্চাশ ছুঁতে-চলা প্রতিষ্ঠান সমাবর্তনের আয়োজন করেছে, গতকাল ও আজ তারই অনুষ্ঠান মহাজাতি সদনে। থাকবেন পদ্মশ্রী পণ্ডিত মণিলাল নাগ, গুরু থাঙ্কমণি কুট্টি, অমিতা দত্ত, বেনজিন খান-সহ বিশিষ্টজন। রয়েছে শিক্ষার্থীদের মঞ্চ-উপস্থাপনা; কলামণি পুরস্কারে ভূষিত হলেন অনিতা মল্লিক ও মিতা চট্টোপাধ্যায়। আজ অনুষ্ঠান শুরু দুপুর ১টা থেকে।
দেশের খোঁজে
রাষ্ট্র, নেশন স্টেট এক আধুনিক ধারণা। দেশ অনেকাংশে ভিন্ন, তার আছে বহুমাত্রিক তাৎপর্যও। মাঝেমধ্যেই দেশ আর রাষ্ট্র মুখোমুখি দাঁড়িয়ে পড়ে, সম্পর্ক গড়ে আপস আর সমঝোতার। ব্যক্তি-মানুষের সঙ্গে সমাজের জটিল সম্পর্কের বুনন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকারের বয়ান তৈরির মধ্য দিয়ে সাহিত্য দেশকে বুঝতে চেয়েছে, রচনাও করেছে। তারই সূত্রে— মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মদ্বিশতবর্ষ, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের একশো পঁচিশ, সমরেশ বসু ও মৃণাল সেনের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে তাঁদের সৃষ্টিকে এক আলোচনাসভায় ফিরে দেখল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ গত ২৮-২৯ ফেব্রুয়ারি। কেন্দ্রীয় ভাবনা ‘দেশের খোঁজ’-এর সুরটি বেঁধে দেন সুমিত চক্রবর্তী; নানা অধিবেশনে বললেন আব্দুল কাফি অনিতা অগ্নিহোত্রী গোপা দত্ত অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায় মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় শিলাদিত্য সেন শেখর সমাদ্দার।
সোনার কেল্লা ৫০
১৯৭১ সালে প্রকাশিত গোয়েন্দাগল্প, বড় পর্দায় ছবি হিসাবে সোনার কেল্লা মুক্তি পেল ১৯৭৪-এ। প্রথম বার বড় পর্দায় ফেলুদা, তোপসে, জটায়ু, সিধুজ্যাঠা আর মুকুল। রাজস্থান ছাড়াও ছবির শুটিং হয়েছিল ইন্দ্রপুরী স্টুডিয়ো আর ভবানীপুরের পদ্মপুকুরে, আজও যা লোকমুখে ‘মুকুলের পাড়া’। মাঝে কেটে গেছে অর্ধশতক, তবু সোনার কেল্লা ঘিরে বাঙালির মুগ্ধতা অটুট। এ বার ‘দ্য ড্রিমার্স’ সংস্থার ক্যালেন্ডারে ফিরে এল সোনার কেল্লা, এ বছরের বিষয় ‘সোনার কেল্লা ৫০’, মূল ভাবনায় সুদীপ্ত চন্দ। গত ২০ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ অনুষ্ঠানে ছিলেন সন্দীপ রায়, সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায়, কুশল চক্রবর্তী-সহ বিশিষ্টজন। সিনেমার শুটিংয়ের ছবি, লবি কার্ড, বুকলেট, পোস্টার, সত্যজিৎ রায়ের আঁকা ছবির টাইটল কার্ড, বইয়ের প্রচ্ছদে সেজে উঠেছে সুদৃশ্য ক্যালেন্ডারটি; ছবিতে তারই একটি।
‘না’ বলা ছবি
ইংরেজি ছোট্ট দু’অক্ষরের শব্দ ‘নো’, কিন্তু ব্যাপ্তি বিশাল। কেবল নেতিই তার উপজীব্য নয়, ‘না’ উচ্চারণ বোঝাতে পারে ইতিবাচক সমর্থনও। তাতে কখনও উচ্চকিত অনুশাসনের ছায়া, কখনও প্রচণ্ড প্রতিবাদের নির্ঘোষ: প্রকৃতি ধ্বংসের প্রতিবাদ, অন্যায় দুর্নীতি একতন্ত্রের প্রতিবাদ, সহমানুষকে ঘৃণায় দূরে ঠেলে জীবনের দেখনদারিসর্বস্বতার প্রতিবাদ। কলকাতার শিল্পী-গোষ্ঠী ‘দ্য ফ্রেম’ এই শব্দটি ঘিরেই গড়েছেন তাঁদের শিল্পকাজ: চিত্রকলা (ছবি), ভাস্কর্য থেকে শুরু করে আর্ট ইনস্টলেশনও। আর্ট কলেজের প্রাক্তনী এই শিল্পীরা ১৯৯৩ সালে গড়ে তোলেন এই গোষ্ঠী, দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেছে তিন দশকেরও বেশি। আলিপুরে ১০ নম্বর অশোকা রোডে তাঁদের নিজস্ব গ্যালারিতে আগামী ১০ থেকে ১৬ মার্চ তাঁদের প্রদর্শনী, ‘না’ ঘিরে। ১৩ মার্চ বিকেল ৫টায় সেখানেই শিল্প-আড্ডা, থাকবেন অসিত বসু গৌতম ঘোষ নিখিলরঞ্জন পাল সৌগত চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।
সর্বময়ী
সবুজ রসায়ন বা ‘গ্রিন কেমিস্ট্রি’ নিয়ে আলোচনা, মহিলা বিজ্ঞানীদের নিয়ে কুইজ়, বিজ্ঞান-কীর্তিতে দুনিয়া পাল্টে দেওয়া নারীদের নিয়ে তথ্যচিত্র। ৮ মার্চ, নারী দিবস এমনই নানা আয়োজনে পালন করল বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল মিউজ়িয়ম (বিআইটিএম)। বিজ্ঞান থেকে শিল্প ও শিক্ষা, নানা পরিসরে নারী দিবস ঘিরে নানা উদ্যাপন শহর জুড়ে। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ় ও প্রভা খৈতান ফাউন্ডেশনের একত্র উদ্যোগে আগামী ১১ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ভিক্টোরিয়ার ইস্টার্ন কোয়াড্রাঙ্গলে নারী দিবসের কনসার্ট: পিয়ানো-ক্লারিনেট-ফ্রেঞ্চ বাসুনের সুরমূর্ছনায় শহর মাতাবেন তিন শিল্পী— ওয়েন-ইং লান, হেলেন রিচার্ড, ডায়ান ম্যাজট। অন্য দিকে, মডার্ন হাই স্কুলকে সঙ্গী করে গ্যোটে ইনস্টিটিউট-ম্যাক্স মুলার ভবন কলকাতায় তাদের ভবন প্রাঙ্গণে আয়োজন করেছে ‘বুক ডোনেশন ড্রাইভ’, ৮-১১ মার্চ যে কেউ দিয়ে যেতে পারেন নতুন-পুরনো বই, খাতা, লিখনসামগ্রী, লোরেটো রেনবো হোমসে পৌঁছে দেবেন ওঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy