অঘটন: তোলা হচ্ছে পড়ে থাকা সেই দেহ। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র
মৃতদেহের সম্মানহানিতে কিছুতেই ইতি টানতে পারছেন না কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ বার কোভিড ব্লক থেকে মর্গে নেওয়ার সময়ে মাটিতে পড়ে গেল করোনায় মৃতের দেহ! বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ গ্রিন বিল্ডিং থেকে দু’চাকার ঠেলাগাড়িতে চাপিয়ে দেহটি মর্গে নিয়ে যাচ্ছিলেন পিপিই পরা স্বাস্থ্যকর্মী। খানিকটা পথ যাওয়ার পরে নার্সিং হস্টেলের মুখে কালো প্লাস্টিকে মোড়া সেই দেহ মাটিতে পড়ে যায়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, পিপিই পরিহিত কর্মী নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পারাতেই ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনাটি জানাজানি হতে আরও দুই স্বাস্থ্যকর্মী এসে দেহ ফের ঠেলাগাড়িতে তুলে দেন।
প্রশ্ন উঠেছে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধ হবে কবে? তার কারণ, সেখানে করোনায় মৃতদের দেহের সম্মানহানির ঘটনা এই প্রথম নয়। গত মে মাসে ইডেন বিল্ডিংয়ের কাছে ঘণ্টাখানেক ফুটপাতেই পড়ে ছিল এক বৃদ্ধের দেহ। ওই ঘটনায় জরুরি বিভাগ থেকে এসএসবি ব্লকে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্ট্রেচারও পাননি মৃতের ছেলে। বাবাকে কাঁধে চাপিয়ে সুপার স্পেশ্যালিটি ব্লকে নিয়ে যাওয়ার সময়ে বৃদ্ধের মৃত্যু হওয়ায় মাটিতেই দেহ রেখে ঘণ্টাখানেক অসহায় ভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন ছেলে। এই ঘটনার কয়েক দিনের মধ্যে জরুরি বিভাগের সামনে রামপ্রসাদ সাউ নামে এক বৃদ্ধের দেহ প্রায় আড়াই ঘণ্টা খোলা জায়গায় পড়ে থাকলে ফের অস্বস্তিতে পড়েন কর্তৃপক্ষ।
এ দিনের ঘটনার প্রেক্ষিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ‘নির্মল’ প্রতিশ্রুতির কী হল, সেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। কারণ, করোনায় মৃতদের দেহের সম্মানহানি যাতে না ঘটে, তার জন্য কোভিড ব্লক থেকে মরদেহ নিয়ে যেতে শববাহী গাড়ি চালু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান নির্মল মাজি। ঘটা করে সেই গাড়ির নামকরণ করেছিলেন ‘স্বর্গরথ’। ‘স্বর্গরথ’ থাকা সত্ত্বেও মৃতদেহ কী ভাবে পড়ে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
আরও পড়ুন: নিয়ম ভাঙা চলছেই বিধাননগরের সংযুক্ত এলাকায়
নির্মলের বক্তব্য, মৃতদেহ ওয়ার্ড থেকে মর্গে নেওয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় বিপত্তি ঘটেছে। তাঁর অনুপস্থিতিতে শববাহী গাড়ির অপেক্ষা না-করেই ডোমেরা ঠেলাগাড়িতে দেহ নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই ঠেলাগাড়ির চাকা বিকল হওয়ায় দেহ কাত হয়ে পড়ে যায়। উপাধ্যক্ষ তথা সুপার ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘শববাহী গাড়ি ও সেটির চালক থাকা সত্ত্বেও কেন ঠেলাগাড়িতে দেহ নেওয়া হচ্ছিল, তা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের কমিটি গড়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy