যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু জরির কারখানায়। প্রতীকী চিত্র।
জরির কারখানা থেকে উদ্ধার হল সেখানকার এক কর্মীর গলা কাটা দেহ। মৃতের নাম জামশেদআখতার। শুক্রবার রাতে নাদিয়ালের এই ঘটনায় রহস্য তৈরি হয়েছে। পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। শনিবার মৃতদেহের ময়না তদন্ত হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের দাবি, এই মৃত্যু খুন না কি আত্মহত্যা, তা জানতে ময়না তদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা করতে হবে।
পুলিশ সূত্রের খবর, বছর সাতাশের ওই যুবক গার্ডেনরিচের পাহাড়পুর রোডের বাসিন্দা। তাঁর স্ত্রী এবং এক সন্তান রয়েছেন। কয়েক মাস আগেই তিনি নাদিয়ালের আয়ুবনগরের ওই জরির কারখানায়কাজ নিয়েছিলেন। শুক্রবার রাত পৌনে ১১টা নাগাদ সেখান থেকেই উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। কারখানার মালিক ওয়াসিম আনসারি দেহটি দেখে পুলিশে খবর দেন।
তদন্তকারীদের ওয়াসিম জানিয়েছেন, জরির কাজ ভালই জানতেন জামশেদ। কয়েক মাস আগেই জামশেদ তাঁর কারখানায় কাজে যোগ দেন। তদন্তকারীদের কাছে ওয়াসিম দাবি করেছেন, শুক্রবার সকালে ব্যবসার জিনিসপত্র কিনতে বেরিয়েছিলেন তিনি। রাতে কারখানায় ফিরে দেখেন, জামশেদের সাড়াশব্দ নেই। ভিতরে ঢুকে তাঁর চোখে পড়ে,জরির কাজের যন্ত্রের পাশেই পড়ে রয়েছে জামশেদের দেহ। তাঁর গলারকাছে গভীর ক্ষত। আশপাশে চাপ চাপ রক্ত পড়ে রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি ছুরি পেয়েছে। পুলিশই দেহটি উদ্ধার করে গার্ডেনরিচ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ঘটনার তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, ওই যুবকআত্মঘাতী হয়েছেন। এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে। কত জন শ্রমিক ওই কারখানায় কাজ করেন, কারও সঙ্গে জামশেদের কোনও শত্রুতা ছিল কি না, সে সব বিষয়েও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। পুলিশকে মৃতের পরিবার জানিয়েছে, প্রায়ই বাড়ি ফিরতেন না জামশেদ। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কারখানাতেইথেকে যেতেন। এ দিন মৃতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তারা কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy