আঘাতের চিহ্ন দেখাচ্ছেন দুরন্তবাবু। — নিজস্ব চিত্র।
গৃহকর্তাকে চপার দিয়ে কুপিয়ে লুঠপাট চালাল দুষ্কৃতীর দল। শনিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর থানার কালিকাপুরে জামালহাটি গ্রামে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই রাতে আড়াইটে নাগাদ গৃহকর্তা দুরন্ত মজুমদারের বাড়ির পিছনের গ্রিলের দরজার তালা ভেঙে হামলা চালায় আট-দশ জনের একটি দুষ্কৃতী-দল। দুরন্তবাবুকে ঘুম থেকে তুলে চপার দিয়ে কোপানো হয়। তাঁর হাতে ও পিঠেও চপার দিয়ে আঘাত করা হয়। দুরন্তবাবু স্ত্রী কাবেরীদেবী বলেন, “স্বামীকে কোপানোর সময় আমি দুষ্কৃতীদের কাছে হাতজোড় করি। তার পরে আলমারি খুলে দিই। চিৎকার শুনে আমার চার বছরের মেয়ের ঘুম ভেঙে যায়। দুষ্কৃতীরা ওকেও মারধর করে। দুষ্কৃতীদের হাত থেকে বাঁচাতে আমি মেয়েকে বাথরুমে নিয়ে গিয়ে রাখি।”
পুলিশ জানিয়েছে, একটি চটের ব্যাগে লুঠের মাল ভরে দুষ্কৃতীরা এর পরে হানা দেয় পাশের ঘরে। সেখানে ঘুমোচ্ছিলেন দুরন্তবাবুর বাবা ও মা। দুরন্তবাবুর বাবা কুমুদবাবুকে ঘুম থেকে তুলে মাথায় রিভলভার ঠেকিয়ে জিনিসপত্র দেওয়ার জন্য শাসানি দিতে থাকে দুষ্কৃতীরা। দুরন্তবাবুর মা শেফালিদেবী বলেন, “বন্দুক দেখে আমি গা থেকে গয়না খুলে ওদের হাতে দিয়ে দিই। ঘরের আলমারিতে কিছু নগদ টাকা ছিল, তা-ও ওদের হাতে তুলে দিয়েছি।”
দুরন্তবাবু পুলিশকে জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীরা সবাই মুখে কাপড় বেঁধে এসেছিল। নিজেদের মধ্যে ইশারায় কথা বলছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, বাড়ির পিছনের গ্রিলের দরজার তালা একটু নড়বড়ে ছিল। ফলে সেটি যে সহজেই ভাঙা যাবে, দুষ্কৃতীরা তা বুঝেছিল। তা দেখেই পুলিশের অনুমান, দুষ্কৃতীদের মধ্যে দুরন্তবাবুদের পরিচিত কেউ ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীদের চেহারার বিবরণ নেওয়া হয়েছে। শনিবার রাতেই দুরন্তবাবুকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রবিবার তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ দিন সকালে হাসপাতালে দুরন্তবাবু বলেন, “ঘরে ঢুকেই আমার উপরে চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। বেধড়ক মারধর করে। বুঝতে পারছিলাম না লুঠ করতে এসে এত মারধর করল কেন?”
বছর দেড়েক আগে রাজপুরে অশোক ঘোষ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতেও একই কায়দায় লুঠপাট চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। ডাকাতদের মারে অশোকবাবু এক চোখে দৃষ্টি হারিয়েছেন। ওই ঘটনায় কয়েক জন বাংলাদেশি দুষ্কৃতীকে ধরেছিল পুলিশ। এ ক্ষেত্রেও কোনও বাংলাদেশি দুষ্কৃতীর দল জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy