বামেদের অবস্থানে মহম্মদ সেলিম। ছবি: শোভন চক্রবর্তী।
সিপিএম রাজ্য সম্পাদক তথা পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে লালবাজারের কাছেই অবস্থান শুরু করল বামেরা। সেই অবস্থান মঞ্চ থেকে সেলিম বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাল্যবন্ধু স্বাস্থ্য দফতর চালাচ্ছে। কোনও স্বচ্ছতা নেই৷ স্বাস্থ্যসচিব কিছু জানেন না। স্বাস্থ্যব্যবস্থা চালাচ্ছে উত্তরবঙ্গ লবি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘শিক্ষা দুর্নীতিতে শিক্ষামন্ত্রী জেলে। খাদ্য দুর্নীতিতে খাদ্যমন্ত্রী জেলে। সেই যুক্তিতে স্বাস্থ্য দুর্নীতিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীরও জেল হওয়া উচিত।’’ সেলিমের প্রশ্ন, ‘‘নন্দীগ্রামে মমতার পায়ে আঘাত লেগেছিল। তখন এসএসকেএমে সন্দীপ ঘোষ আর এসপি দাস প্লাস্টার করেছিলেন। তখন তো জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি ছিল না। তা হলে কেন ওখানে চিকিৎসা হয়নি?’’
ফিয়ার্স লেনে ৩০ ঘণ্টা অবস্থানের তোড়জোর শুরু বামেদের। পুলিশের ব্যারিকেডের সামনেই টাঙানো হবে তাঁবু। সেই জন্য গাড়ি বোঝাই করে বাঁশ আনা হচ্ছে। রাস্তার পাশে চলছে বক্তৃতা।
ফিয়ার্স লেনে পুলিশের ব্যারিকেডের সামনেই বামেদের অবস্থান কর্মসূচি শুরু। সারা রাত সেখানেই বসে থাকবেন বাম নেতা-কর্মীরা। ৩০ ঘণ্টা লালবাজারের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলবে তাঁদের।
বামেদের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ও রয়েছেন মিছিলে।
আন্দোলনকারীদের সাবধানতা অবলম্বন করার আর্জি পুলিশের। মাইকে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বলা হচ্ছে, ‘‘আপনারা সাবধানতা অবলম্বন করুন। শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন করুন।’’
পুলিশের ব্যারিকেডে দলীয় পতাকা হাতে উঠে পড়লেন বামকর্মীরা। সেখান থেকেই উঠছে স্লোগান। সিপি পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন তাঁরা।
বৌবাজার থেকে মিছিল ফিয়ার্স লেনে পৌঁছতেই তা আটকে দেয় পুলিশ। বামেদের লালবাজার অভিযান আটকাতে আগে থেকেই নানান বন্দোবস্ত করেছিল তারা। লোহার ব্যারিকেড বসানো হয়েছিল। জলকামান থেকে টিয়ারগ্যাসেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। মিছিল আটকাতেই ব্যারিকেডে ব্যানার ঝুলিয়ে দেন বাম কর্মী-সমর্থকেরা।
বামেদের মিছিলে সামনের সারিতে ছিলেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। সেই মিছিল থেকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে ‘পচা মাল’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘আরজি করের প্রিন্সিপাল যিনি ছিলেন তিনি একটি পচা মাল।’’
লালবাজার অভিযানের জন্য বৌবাজারের ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া মোড়ে শুক্রবার জমায়েত করে বামেরা। তার পর মিছিল এগোয় লালবাজারের দিকে। যেখানে পুলিশ মিছিল আটকাবে, সেখানেই বসে পড়ার পরিকল্পনা বামেদের। যে কারণে আগে থেকেই শনিবার পর্যন্ত কর্মসূচির কথা ঘোষণা করে রেখেছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy