দক্ষিণ দমদম পুরসভা। —ফাইল চিত্র।
জুনিয়র চিকিৎসকেরা স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শেষ করে কাজে ফিরেছেন। তাই আর জি কর কাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি করা যাবে না। এমনই হুমকি দিয়ে শুক্রবার রাতে দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের দমদম পার্ক এলাকায় প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল। অভিযোগের তির শাসকদলের এক পুরপ্রতিনিধি এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যদিও শনিবার পর্যন্ত লেক টাউন থানায় লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। শাসকদলের দাবি, প্রতিবাদ নিয়ে আপত্তি করা হয়নি। পুজোমণ্ডপ থেকে দূরে গিয়ে ওই কর্মসূচি পালনের অনুরোধ করা হয়েছিল।
প্রতিবাদীরা জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত দমদম পার্কের পুজোমণ্ডপের কাছে রাস্তায় ছবি আঁকা ও স্লোগান লেখার কাজ চলছিল। স্থানীয় ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি বিশ্বজিৎ প্রসাদ সেখানে এসে দমদম পার্কের অন্যান্য পুজো কমিটির লোকজনদের ডেকে আনেন। প্রতিবাদীদের গালিগালাজ, হুমকি দেওয়া এবং আঁকার সরঞ্জাম ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ধাক্কাধাক্কি ও চড় মারার অভিযোগও ওঠে। প্রতিবাদীদের এক জন, পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার শঙ্খ চৌধুরী বলেন, ‘‘আর জি কর-কাণ্ডের পরে একটি নাগরিক ফোরামের সদস্যেরা চেয়েছিলেন, পুজোমণ্ডপও প্রতিবাদের মঞ্চ হয়ে উঠুক। অথচ এঁদের ধারণা, দমদম পার্কের পুজো নষ্ট করতেই এই কর্মসূচি করা হচ্ছিল। তাঁদের বার বার বোঝানো হলেও কাজ হয়নি।’’ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, এলাকার প্রাক্তন পুরপ্রতিনিধি তথা কলেজশিক্ষিকা সবিতা চৌধুরীর দাবি, ‘‘পুজোপ্রাঙ্গণের কাছে কেন ছবি আঁকা হচ্ছে, এই যুক্তি আসলে অজুহাত। আর জি কর-কাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদ চলুক, তা ওঁরা চান না।’’
তবে পুরপ্রতিনিধি বিশ্বজিতের পাল্টা দাবি, পুজো কমিটি ডেকেছিল বলেই তিনি ঘটনাস্থলে যান। মণ্ডপের সামনে রাস্তায় স্লোগান বা ছবি আঁকা থাকলে দর্শনার্থীরা তা মাড়িয়ে চলবেন, তা অনেকে চাননি। তাই মণ্ডপ থেকে দূরে গিয়ে আঁকতে বলা হয়। তাঁর অভিযোগ, বাম ও বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা বহিরাগতদের সঙ্গে মিলে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন। তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলে উত্তেজনা ছড়ায়। বিশ্বজিতের দাবি, দমদম পার্কের পুজো নষ্ট করতেই এমন প্রতিবাদ করা হচ্ছে। যদিও তা মানতে নারাজ প্রতিবাদীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy