—ফাইল চিত্র।
একের পর এক করোনা আক্রান্তের খবরে পুলিশকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার গরফা থানার আরও এক আধিকারিক ও কনস্টেবলের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। এই নিয়ে শুধু গরফা থানাতেই মোট ছ’জন পুলিশকর্মী সংক্রমিত হলেন। এ দিন লালবাজারে কর্মরত এক পুলিশকর্মীও করোনায় আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে।
গরফা থানার যে পুলিশ আধিকারিকের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে, তিনি আগে থেকেই কোয়রান্টিনে ছিলেন। এ দিন সেই সঙ্গে আরও এক কনস্টেবলের সংক্রমণের খবর জানা যায়। করোনা সন্দেহে ওই থানার এক কনস্টেবলের মৃত্যুতে থানা ভাঙচুর করা হয়েছিল। বিক্ষোভকারী পুলিশকর্মীদের অভিযোগ, আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চললেও গরফা থানাকে যথাযথ ভাবে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে না।
এই পরিস্থিতিতে ফের সংক্রমণের খবরে গরফা থানার পুলিশকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে। থানার এক পুলিশকর্মীর অভিযোগ, ‘‘আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চললেও তাঁদের সংস্পর্শে আসা পুলিশকর্মীদের কোয়রান্টিনে পাঠানো হচ্ছে না।’’ আর এক পুলিশকর্মী দাবি করেছেন, ‘‘প্রশাসনের তরফে শীঘ্রই গরফা থানাকে সিল করা হোক।’’ এ প্রসঙ্গে ডিসি (এসএসডি) প্রদীপ যাদবকে একাধিক বার ফোন করা হলে তাঁর ফোন বেজে গিয়েছে। জবাব মেলেনি এসএমএসেরও।
কলকাতা পুলিশের র্যাফের এক কর্মীর রিপোর্টও এ দিন পজ়িটিভ এসেছে। এ দিন তাঁর লালবাজারে ডিউটি ছিল। সেখানেই তাঁর পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে বলে জানা যায়। তার পরেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তাঁর করোনার উপসর্গ দেখা যায়নি বলে খবর। ওই পুলিশকর্মী পিটিএসে কর্মরত ছিলেন। সেখানে দিন দুয়েক আগে ১৬ জন পুলিশকর্মী সংক্রমিত হওয়ার পরে পিটিএসের ব্যারাকের সব পুলিশকর্মীর লালারসের নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছিল। এ দিন সেই রিপোর্টই আসে। শিয়ালদহ ট্র্যাফিক গার্ডের দুই আধিকারিকের লালারসের নমুনাও এ দিন পাঠানো হয়েছে। করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ায় তাঁদের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy