ভরসা: দত্তাবাদ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চলছে প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ। সোমবার। নিজস্ব চিত্র
দ্বিতীয় দিনেও প্রতিষেধক নেওয়ার ব্যাপারে প্রত্যাশা অনুযায়ী উৎসাহ দেখা গেল না। বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত প্রতিষেধক প্রাপকের সংখ্যা ছিল ৪১। সোমবার বিধাননগরের দত্তাবাদ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ছবিটা মোটের উপরে ছিল এমনই।
বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে এ দিন ৫৮ জন প্রতিষেধক নিয়েছেন। দু’টি জায়গা মিলিয়ে বিধাননগরে দ্বিতীয় দিন বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত মোট ৯৯ জন প্রতিষেধক নিয়েছেন বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। প্রথম দিনে ওই দুই জায়গায় মোট ১২৫ জন প্রতিষেধক নিয়েছিলেন।
পুরসভা সূত্রের খবর, করোনার প্রতিষেধক প্রাপকদের তালিকা আগেই জেলা স্বাস্থ্য দফতরে পাঠানো হয়েছিল। প্রথম দিন সংখ্যাটা কম ছিল। যদিও পুরকর্তাদের একাংশ জানিয়েছেন, ‘কো-উইন’ অ্যাপে বিভ্রাট দেখা দেওয়ায় প্রাপকদের সঙ্গে যোগাযোগে কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়েছে। পুরসভার দাবি, সম্ভবত কিছুটা আশঙ্কা থেকেই অনেকে প্রতিষেধক নেওয়ার ব্যাপারে উৎসাহ দেখাননি। তবে সংখ্যাটা ক্রমশ বাড়বে বলেই আশা তাঁদের। পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য প্রণয় রায় বলেন, ‘‘একটা ভীতি যে কাজ করছে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। তালিকাভুক্ত সকলেই যাতে ভয় কাটিয়ে প্রতিষেধক নিতে আসেন, সে ব্যাপারে চেষ্টা করছি।’’
এ দিন সকাল থেকে দত্তাবাদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভিড় প্রথম দিনের তুলনায় অনেকটাই কম ছিল। বেলা ১২টা পর্যন্ত মাত্র হাতে গোনা কয়েক জনকেই প্রতিষেধক নেওয়ার লাইনে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে। পরে তালিকাভুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের সংখ্যা কিছুটা বাড়ে বলে পুরসভা সূত্রের খবর। স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশের বক্তব্য, ধীরে ধীরে ভয় কেটে যাবে। প্রথম দিন দত্তাবাদে ৫৪ জন প্রতিষেধক নিয়েছিলেন। বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়েছিলেন ৭১ জন।
এ দিন হাসপাতালের সুপার পার্থপ্রতিম গুহ জানান, বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ৫৮ জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী প্রতিষেধক নিয়েছেন। তাঁরা সকলেই বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy