লকডাউনে চেকিং চলছে। ছবি: পিটিআই।
শহরের যে সব জায়গায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে, সেই সব জায়গায় আজ, সোমবার থেকে বিশেষ নজরদারি শুরু হচ্ছে। আক্রান্তদের বাড়িগুলি তো বটেই, তার আশপাশের এলাকাতেও নিয়মিত ভাবে জীবাণুনাশক স্প্রে করার কাজ হবে। রবিবার কলকাতা পুরসভায় এক জরুরি বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তালিকা অনুসারে আপাতত কলকাতার ৪২টি জায়গা ওই নজরদারির আওতায় আনা হচ্ছে। তবে এর জন্য স্বাভাবিক জীবনে কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই সরকারি সূত্রের দাবি।
শনিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পরেই আবাসন দফতরের সচিব ওঙ্কারসিংহ মিনাকে কলকাতা পুরসভার সঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের সমন্বয় রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই মতো শনিবার রাতেই পুর ভবনে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা এবং সমন্বয়কারী ওই আধিকারিক। পরে মেয়র জানান, স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তালিকা মতো কলকাতায় যে সব জায়গায় আক্রান্তের খবর মিলবে, সেই সব জায়গাতেই জীবাণুনাশক স্প্রে করবে পুরসভা। পুলিশ ওই এলাকায় বিশেষ নজর রাখবে। সেখানকার বাসিন্দারা যাতে সুরক্ষিত থাকেন, তার সব রকম ব্যবস্থা করা হবে।
এর পরেই রবিবার পুরসভা ও স্বাস্থ্য দফতরের পদস্থ অফিসারদের নিয়ে পুর ভবনে বৈঠক করেন ওই সমন্বয়কারী অফিসার। বৈঠকে হাজির ছিলেন পুর কমিশনার খলিল আহমেদ। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা ওই বৈঠকে স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া হিসেব মতো উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার ৪২টি এলাকা নিয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: করোনা-মরসুমে বন্ধের মুখে অন্য চিকিৎসা
পুরসভা সূত্রের খবর, ওই সব জায়গায় কেউ না কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে কোনও ভাবেই সেই সেই সব জায়গার নাম প্রকাশ করা হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। যদিও ওই সব এলাকায় করোনা প্রতিরোধের সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এমনকি পুরসভার জঞ্জাল অপসারণের গাড়িতেও নিয়মিত জীবাণুনাশক স্প্রে করা হবে। তা ছাড়া বিশেষ ক্ষেত্রে আবাসিকদের বাড়ির ভিতরে জীবাণুনাশক স্প্রে করতে হলে ‘মিস্ট ব্লোয়ার’ ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই এলাকার লোকজন যে সব দোকান থেকে খাদ্যসামগ্রী, ওষুধ, আনাজ কেনেন বা যে রাস্তা ধরে যাতায়াত করেন, সেখানেও জীবাণুনাশক স্প্রে করা হবে।
আরও পড়ুন: দেড় ঘণ্টা হেঁটে এসেও শিশুর চিকিৎসা পেলেন না বাবা-মা
এ ছাড়াও পুরসভার বাজার দফতরের মেয়র পারিষদ আমিরুদ্দিন ববিকে প্রতিটি বাজার ঘুরে রিপোর্ট দিতে বলেছেন মেয়র। রবিবার থেকেই সেই কাজ তিনি শুরু করেছেন। করোনা প্রতিরোধের সরঞ্জাম অর্থাৎ মাস্ক, পিপিই, স্যানিটাইজ়ার এবং রাসায়নিক মজুত আছে কি না, তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। সেখানে বলা হয়, কোনও সরঞ্জামের প্রয়োজন হলে সমন্বয়কারী অফিসারকে তা জানাতে হবে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy