সামাজিক হেনস্থার শিকার এই হাসপাতালের কর্মীই। —নিজস্ব চিত্র
অবশেষে ব্যারাকপুরের বি এন বসু মহকুমা হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীর বাড়িতে গেল পুলিশ। গেলেন উত্তর ব্যারাকপুরের পুর প্রধান। সূত্রের খবর, ওই কর্মীকে যাতে সামাজিক ভাবে বয়কট করা না হয়, সেটাও তাঁর প্রতিবেশী এবং দোকানদারকে শুক্রবার বলে আসা হয়েছে।
দিন কয়েক আগে ব্যারাকপুরের ওই হাসপাতালের এক মহিলা চিকিৎসকের করোনা ধরা পড়ে। এর পরেই ১০ চিকিৎসক-সহ ৭০ জনকে কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়। সেই ৭০ জনের মধ্যে ছিলেন না ব্যারাকপুর মণিরামপুরের বাসিন্দা গৌতম চক্রবর্তী। তবু ওই হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী হওয়ায় এলাকায় রটিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তিনিও করোনা আক্রান্ত। অভিযোগ, তার পর থেকেই সামাজিক বয়কটের শিকার হন ওই পরিবার। পাড়ার দোকানদার পর্যন্ত তাঁদের জিনিস বিক্রি করছিলেন না। গুজব রটানোর অভিযোগ উঠেছিল স্থানীয় কাউন্সিলর দেবাশিস দে-র বিরুদ্ধে। গৌতমবাবু পুলিশে অভিযোগ জানাতে চাইলে করোনার দোহাই দিয়ে সেটাও নেওয়া হয়নি। এই খবর সংবাদপত্রে প্রকাশ হতেই পরিস্থিতি বদলের আশ্বাস মিলল।
এ দিন ব্যারাকপুর থানার আইসি দেবকুমার সাধুখাঁ গৌতমবাবুর বাড়ি যান। পাড়ার দোকানদারকেও গৌতমবাবুদের কাছে জিনিস বিক্রির কথা বলে আসেন। উত্তর ব্যারাকপুরের পুর প্রধান মলয় ঘোষ সেখানে গিয়ে প্রতিবেশীদের জানান, গৌতমবাবু করোনা আক্রান্ত নন। গৌতমবাবুর পরিবারের সদস্যদের তিনি বলেন, “এই ঘটনার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আপনাদের যাতে অসুবিধা না হয় তা দেখব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy