প্রতীকী ছবি।
পুজোর আগে থেকেই বিধাননগরে সংক্রমণের রেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী হয়েছিল। পুজোর দিনগুলিতেও তা অব্যাহত থাকল। পুরসভা সূত্রের খবর, সুস্থতার হার বাড়লেও দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ফের বেড়েছে বিধাননগরে।
পুরসভা সূত্রের খবর, বিধাননগরে এখনও পর্যন্ত ৮৮০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আগে যেখানে দিনে গড়ে ৫০-৬০ জন সংক্রমিত হতেন, সেখানে বর্তমানে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০ থেকে ১২০। পাশাপাশি, অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা যেখানে আগে ছিল ৬০০ থেকে ৭০০-র মধ্যে, তা-ও বেড়ে হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। ফলে চিন্তা বাড়ছে প্রশাসনের।
স্থানীয়দের একাংশের বক্তব্য, পুজোর কেনাকাটা করতে দোকান-বাজারে যে পরিমাণ ভিড় হয়েছিল, তাতেই একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। পুজোর সময়ে অন্যান্য বছরের তুলনায় মণ্ডপে ভিড় কম হলেও সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কাটা তাই ছিলই। যদিও পুরসভা জানিয়েছে, সংক্রমণ ঠেকাতে সচেতনতামূলক প্রচার থেকে শুরু করে এলাকা জীবাণুমুক্তকরণ-সহ একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে।
করোনার পাশাপাশি মশাবাহিত রোগ, বিশেষত ডেঙ্গির প্রকোপ যাতে না বাড়ে, তার জন্য পুর এলাকা পরিছন্ন রাখা, জল জমতে না দেওয়া-সহ বিভিন্ন সতর্কতামূলক পদক্ষেপও শুরু করা হয়েছে।
পুজোর সময়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা-বিধি মেনে চলার কথা লাগাতার প্রচার করা হয়েছিল। কিন্তু পুজোর দিনগুলিতে মাস্ক না পরা বা দূরত্ব-বিধি বজায় না রাখার প্রবণতা দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ। বাসিন্দাদের একাংশের আশঙ্কা, আগামী দিনে আরও বেশ কিছু উৎসব রয়েছে। সেই সব দিনেও এমন প্রবণতা থাকলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা মুশকিল হবে।
বিধাননগর পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর এক সদস্য জানিয়েছেন, মাস্ক পরা, দূরত্ব-বিধি বজায় রাখা-সহ যে সমস্ত নিয়ম পালনের কথা বার বার বলা হচ্ছে, তা আরও বেশি করে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে প্রচারে জোর দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy