Advertisement
১১ জানুয়ারি ২০২৫
Coronavirus

আমেরিকা থেকে ফিরেই পুরসভায়, শঙ্কা

শহর জুড়ে করোনা-আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

অনুপ চট্টোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০২০ ০৩:০৮
Share: Save:

লন্ডন ফেরত দুই যুবকের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মেলার পরে চিন্তিত রাজ্য প্রশাসন। আতঙ্কে শহরবাসী। ঠিক সেই সময়েই সদ্য আমেরিকা ফেরত কলকাতা পুরসভার এক প্রাক্তন অফিসারকে নিয়ে শুক্রবার তোলপাড় চলল পুর ভবনে। পুরসভার কর মূল্যায়ন দফতরের ওই প্রাক্তন অফিসার এ দিন লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে পেনশন সেলে গিয়েছিলেন। ওই বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে কথাও বলেন। লাইফ সার্টিফিকেট দিতে দেরির কারণ জানতে চাইলে ওই ব্যক্তি জানান, তিনি কয়েক মাস আমেরিকায় ছেলের কাছে ছিলেন। গত ১২ মার্চ কলকাতায় ফিরেছেন। তা শুনেই চোখ কপালে ওঠে পেনশন সেলের কর্মীদের। হইচই বাড়তেই সুযোগ বুঝে ওই ব্যক্তি পুরসভা থেকে সরে পড়েন বলে অভিযোগ। তাঁর শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়েছে কি না, সেই জল্পনা দিনভর চলে পুরসভার অন্দরে। খবর যায় পুর কমিশনার থেকে পদস্থ অফিসারদের কাছে। পরে পুরসভার এক অফিসার জানান, বিষয়টি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে জানানো হয়েছে।

শহর জুড়ে করোনা-আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে। বিশেষত ইউরোপ, আমেরিকা, ইতালি থেকে আসা লোকজনকে নিয়ে যাতে সকলে সতর্ক থাকেন, সেই পরামর্শ দিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর। বাধ্যতামূলক ভাবে বিদেশি-সহ ওই ভারতীয়দের ১৪ দিন গৃহ-পর্যবেক্ষণে থাকার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু অভিযোগ, তার পরেও অনেকে সচেতন হচ্ছেন না। পুরসভা সূত্রের খবর, প্রাক্তন ওই অফিসার এ দিন দুপুরে পুরসভার পেনশন দফতরে আসেন। লিখিত আবেদনে দেখা যায়, তাঁর বাড়ি বারাসতে। তাঁর লাইফ সার্টিফিকেট জমাও নেন সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মী। পরে ওই প্রবীণের কাছে জানতে চাওয়া হয়, সার্টিফিকেট জমা দিতে এত দেরি হল কেন? তখন তিনি জানান, আমেরিকায় ছেলের কাছে ছিলেন। গত ১২ মার্চ ফিরেছেন। তার পরেই মাথায় হাত পড়ে পুরকর্মীদের। করোনাভাইরাসের পরীক্ষা তিনি করিয়েছেন কি না, জানতে চাওয়া হলে ওই প্রাক্তন অফিসার জানান, তেমন কোনও পরীক্ষা করাননি। এর পরেই হইচই বাড়ে পুরসভায়। পদস্থ অফিসারদের বিষয়টি জানানো হয়। সেই ফাঁকে ওই প্রবীণ চলে যান বলে অভিযোগ।

পরে পুরো বিষয়টি রেকর্ড করা হয় পুরসভার নথিতে। বিকেলে স্বাস্থ্য দফতরের এক অফিসারকে পুরো ঘটনা জানানো হয়। বারাসতে ওই প্রবীণের ঠিকানায় গিয়ে খোঁজ নিতে বলা হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে।

এ দিকে যতক্ষণ না ওই প্রবীণের বিষয়ে সবিস্তার জানা যাচ্ছে, ততক্ষণ চিন্তা যাচ্ছে না পুরসভার পেনশন দফতরের কর্মীদের। কারণ, কর্মীরা তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলেছেন, হাতে হাতে সার্টিফিকেট জমা নিয়েছেন। পুরো বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে পুর কর্তাদেরও।

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Kolkata KMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy