—প্রতীকী চিত্র।
১৫ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ঘরেই পড়ে রইল করোনায় মৃত বৃদ্ধার দেহ। এ বার অভিযোগ, তাঁর ডেথ সার্টিফিকেট পেতে দেরি এবং সৎকারের নির্দিষ্ট প্রক্রিয়াগত কারণেই এই পরিস্থিতি। ঘটনাটি বিধাননগর পুরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত কেষ্টপুর সমরপল্লির।
মৃতার ছেলে জানিয়েছেন, তাঁর মা জ্বরে ভুগছিলেন। কোভিড পরীক্ষা করানো হলে রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। এর পরেই চিকিৎসক বৃদ্ধাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে বলেন। কিন্তু কোনও হাসপাতাল ভর্তি নিতে চায়নি বলে দাবি ছেলের। তাই বাড়িতেই ছিলেন বৃদ্ধা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেখানেই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। চিকিৎসক ডেথ সার্টিফিকেট দিতে না চাওয়ায় সৎকারের প্রক্রিয়ায় দেরি হয়ে যায়। ছেলের দাবি, বিষয়টি তিনি স্থানীয় পুর প্রশাসনকে জানিয়েছিলেন।
অভিযোগ, তবুও ১৫ ঘণ্টার বেশি দেহ বাড়িতে পড়ে ছিল। দেহ সরানোর তোড়জোড় শুরু হয় শুক্রবার সকাল থেকে। বিধাননগর পুরসভা ও বাগুইআটি পুলিশের যৌথ প্রচেষ্টায় বৃদ্ধার সৎকার হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশ্ন, সৎকারে নিয়ে যেতে এত সময় লাগল কেন?
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সচিব মাইকেল মণ্ডল বলেন, ‘‘আমাদের কাছে বৃদ্ধার মৃত্যুর খবর পৌঁছতে বৃহস্পতিবার রাত হয়ে যায়। এ দিকে ডেথ সার্টিফিকেট পাওয়া যাচ্ছিল না। সেটা আনতেও অনেকটা সময় যায়। তা ছাড়া বাড়িতে করোনা রোগীর মৃত্যুর ঘটনা আগে এখানে ঘটেনি। ফলে দেহ সরানোর নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া বুঝতে সময়ে লেগেছে।’’ হাসপাতালের ভর্তি না নেওয়া প্রসঙ্গে মাইকেল জানান, এমন কোনও তথ্য তাঁর জানা নেই।
মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীর দাবি, এখানে পুরসভার গাফিলতি নেই। প্রক্রিয়াগত কারণে সময় লেগেছে। তিনি জানান, করোনায় মৃতের সৎকারের নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে। এমনিতেই বিধাননগরে শ্মশান কিংবা গোরস্থান নেই, ফলে পুর এলাকায় করোনায় মৃতের সৎকারের জন্য যে যে ব্যবস্থা থাকা দরকার, তাও নেই। পুরো প্রক্রিয়ার জন্য কলকাতা পুরসভার সহযোগিতা লেগেছে।
করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকা বিধাননগর পুর এলাকার বাসিন্দাদের আতঙ্ক আরও এক জায়গায়। তা হল, অনেকেই বেসরকারি জায়গায় পরীক্ষা করাচ্ছেন। তাঁদের অনেকেরই রিপোর্ট আসছে পজ়িটিভ। অথচ রিপোর্ট আসার আগে পর্যন্ত পরিবারের লোকজন বাইরে বেরোচ্ছেন। এতেও সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় জানান, রিপোর্ট আসা পর্যন্ত বাড়ি থেকে না বেরোতে বার বার আবেদন করছে পুরসভা। প্রক্রিয়াগত কারণে বেসরকারি জায়গা থেকে পুরসভায় খবর পৌঁছতে সময় লাগছে। তার পরেই আক্রান্তের বাড়ি জীবাণুমুক্ত করতে পুরকর্মীরা পৌঁছচ্ছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy