চিংড়িঘাটা উড়ালপুল। — ফাইল চিত্র।
ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন (ইএম) বাইপাসে চিংড়িঘাটা মোড়ের উড়ালপুলের অবস্থা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক যে সেই বিষয়ে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসলেন রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা। পুর দফতর সূত্রে খবর, চিংড়িঘাটা উড়ালপুলের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রযুক্তি বিশারদ কোনও তৃতীয় পক্ষের মতামত নেওয়া হবে। সেই মতামতে যদি উড়ালপুল ভাঙা বা মেরামতের পরামর্শ দেওয়া হয়, তবে তা খতিয়ে দেখা হতে পারে।
বুধবার বিধানসভায় এই বিষয়ে বৈঠকে বসেন কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, আবাসন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, পুর ও নগরোন্নয়ন সচিব খলিল আহমেদ, কলকাতা মিউনিসিপ্যাল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)-র সিইও বিজয় ভারতী-সহ প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা। বৈঠকে কেএমডিএ-র এক আধিকারিক দাবি করেন, এই উড়ালপুল নির্মাণের সময়েই বড় ধরনের ত্রুটি রয়ে গিয়েছে। তাই এত অল্প সময়ের মধ্যেই উড়ালপুলটি বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। উড়ালপুলের ১৯ ও ২০ নম্বর পিলার দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে খবর। তাই এখনই যান চলাচল নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক।
গত ২১ জুলাই বিধাননগরে কেএমডিএর অফিসে চিংড়িঘাটা উড়ালপুলের বর্তমান অবস্থা নিয়ে বৈঠক হয়। কেএমডিএর সিইও ছাড়াও কেএমডিএর রাস্তা ও সেতু বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা এবং পরামর্শদাতা সংস্থার শীর্ষকর্তারা হাজির ছিলেন। তারপরেই সিদ্ধান্ত হয়, আপাতত কিছুদিন বিকল্প ব্যবস্থা করে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে চিংড়িঘাটা উড়ালপুলে। সঙ্গে আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, উড়ালপুলের প্রতিটি স্প্যানের নীচে অতিরিক্ত পিলার বসিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। তবে উড়ালপুলের নীচ দিয়ে যানবাহন ও মানুষ যাতায়াত করে। তাই সেখানে পিলার না রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কেএমডিএ সূত্রে খবর, বামফ্রন্ট সরকারের সময়ে তৈরি হয়েছিল ইএম বাইপাস ও ভিআইপি রোডের সংযোগকারী চিংড়িঘাটা উড়ালপুলটি। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘মেগা সিটি’ প্রকল্পের অধীনে চিংড়িঘাটা মোড় থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভে যাতায়াতের সুবিধার্থে ৬০০ মিটার দীর্ঘ এই উড়ালপুল তৈরি করা হয়েছিল।
চিংড়িঘাটা উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছিল ২০১৯ সালে। সেই সময় এক পরামর্শদাতা সংস্থা জানিয়েছিলেন, উড়ালপুল নির্মাণের ক্ষেত্রে বেশকিছু ত্রুটি রয়েছে। তাই উড়ালপুল দিয়ে গাড়ির গতিবেগ বেঁধে দেওয়া হয়। প্রশাসনিক নির্দেশে বলা হয়, ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার বেগেই যান চলাচল করবে চিংড়িঘাটা উড়ালপুল দিয়ে। সেই নির্দেশ মেনেই যান চলাচল করা শুরু করে। কিন্তু তাতেও উড়ালপুলের ক্ষয়ক্ষতি আটকানো যায়নি বলেই জানিয়েছেন কেএমডিএর একটি সূত্র। তবে কেএমডিএর একাংশ মনে করছে, সাময়িক ভাবে কিছু ব্যবস্থা করে ফ্লাইওভার দিয়ে গাড়ি চালানো গেলেও এটি পুরোপুরি ভেঙে ফেলা ছাড়া কোনও উপায় নেই। কিন্তু তার আগে তৃতীয় পক্ষের মতামত নেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছে রাজ্য সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy