—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রাস্তা পেরোতে গিয়ে মাঝপথে সিগন্যাল বদল হয়ে যাওয়ার জেরে বিপাকে পড়েন অনেক পথচারীই। অভিযোগ, শহরের বিভিন্ন ছোট-বড় রাস্তার মোড়ে পথচারীদের জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয় না। ফলে রাস্তা পেরোনোর মাঝপথেই গাড়ি চলাচল শুরু হয়ে গেলে বিপদের আশঙ্কা বাড়ে। পথচারীদের এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে এবং রাস্তা পারাপার সুরক্ষিত করতে শহরের রাস্তায় কোথায় কোথায় ‘রেফিউজ আইল্যান্ড’ তৈরির (রাস্তার দুই লেনের মাঝে চওড়া জায়গা, যেখানে পথচারীরা দাঁড়াতে পারেন) প্রয়োজন রয়েছে, তা ট্র্যাফিক গার্ডগুলির কাছে জানতে চাইল লালবাজার। সূত্রের খবর, সোমবার সকালে লালবাজারের তরফে ওই তালিকা চেয়ে বার্তা পাঠানো হয়েছে প্রতিটি ট্র্যাফিক গার্ডকে। এমনকি, বিকেলের মধ্যেই তা লালবাজারে জমা দিতে বলা হয়েছিল। বিভিন্ন ট্র্যাফিক গার্ড সূত্রের খবর, প্রতিটি গার্ডের তরফে গড়ে তিন থেকে পাঁচটি করে গুরুত্বপুর্ণ রাস্তার মোড়ের কথা বলা হয়েছে, যেখানে পথচারীদের জন্য ওই ‘রেফিউজ আইল্যান্ড’ প্রয়োজন।
লালবাজার সূত্রের খবর, গত বছর শহরের প্রায় ৩০টি জায়গায় ওই ‘রেফিউজ আইল্যান্ড’ তৈরি করা হয়েছিল। যার মধ্যে রয়েছে ধর্মতলা, বি বা দী বাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। মূলত পুরসভার সঙ্গে যৌথ ভাবে ওই আইল্যান্ড তৈরি করা হয়। ট্র্যাফিক গার্ডের পাঠানো এ বারের তালিকা নিয়ে সমীক্ষা করবে পুরসভা। এর পরেই তৈরি করা হবে ওই আইল্যান্ড।
ট্র্যাফিক পুলিশের একাংশ থেকে শুরু করে শহরের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, রাস্তা পারাপারের জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয় না। এমনকি, পথচারীদের রাস্তা পারাপারের জন্য কত সময় দেওয়া হবে, তা নিয়ে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের কোনও নির্দিষ্ট নীতি নেই বলেও অভিযোগ। ফলে শহরের বেশির ভাগ রাস্তার মোড়েই ট্র্যাফিক সিগন্যাল পথচারীদের জন্য গড়ে ১০ সেকেন্ড খোলা থাকে। অভিযোগ, ওই সময়ের মধ্যে রাস্তা পেরোতে অনেকেই অসুবিধায় পড়েন। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। ট্র্যাফিক পুলিশের একটি সূত্রের খবর, বর্তমানে শহরের সব সিগন্যাল স্বয়ংক্রিয় ভাবে চলে। ফলে মাঝরাস্তায় সিগন্যাল লাল থেকে সবুজ হয়ে গেলেও সেখানে থাকা ট্র্যাফিক পুলিশের কিছু করার থাকে না। এর ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ে।
কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা জানান, পথচারীদের ওই সমস্যা তাঁদের নজরে এসেছে। সেই সঙ্গে দুর্ঘটনার আশঙ্কার কথা মাথায় রেখেই বড় রাস্তার মাঝে ওই
রেফিউজ আইল্যান্ড তৈরির জন্য বিভিন্ন ট্র্যাফিক গার্ডের কাছে তালিকা চাওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy