—প্রতীকী চিত্র।
ফেসবুকে আলাপ। সেখান থেকে প্রেম। নাবালিকা মেয়ের প্রেম মেনে নেননি তার পরিবারের লোকেরা। সম্পর্কে আপত্তি করায় ঠাকুরপুকুরে নাবালক বন্ধুর সাহায্যে নিজের মাকে হত্যার অভিযোগ এক নাবালিকার বিরুদ্ধে। মৃতার নাম চায়না স্যান্যাল (৫৪)। জেরায় দু’জনেই তাদের অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বছর দেড়েক আগে ১৪ বছরের ওই নাবালিকার সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ হয় মধ্যমগ্রামের এক নাবালকের। ফেসবুকের আলাপ ক্রমে প্রেমে পরিণত হয়। কিন্তু বাধ সাধে মেয়েটির পরিবার। দু’জনের এই সম্পর্ক নিয়ে আপত্তি জানায় তারা। মেয়েটির মা তাকে এই নিয়ে বকুনিও দেন। এই ঘটনার পর থেকে মাকে হত্যার পরিকল্পনা করে দু’জন মিলে। গত ৬ জুন মেয়েটির মা-বাবা যখন ঘুমাচ্ছিলেন সেই সময় ওই নাবালক বন্ধু মেয়েটির বাড়ি যায় এবং দু’জনে মিলে চায়নাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বলে অভিযোগ।
এই কুকীর্তির সময় মেয়েটির বাবা, বাদল স্যান্যালের হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়। তখন ওই নাবালক ছেলেটি তাঁকে ধাক্কা মেরে খাট থেকে ফেলে দেয়। মায়ের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর মেয়েটি তার বাবাকে পাশের ঘরে নিয়ে যায় এবং মুখ বন্ধ রাখতে বলে। দু’জনে মিলে বাদলকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়। পরের দিন সকালে চিকিৎসককে ডাকা হয়। এবং চিকিৎসক ডেথ সার্টিফিকেট দেন। ওই দিনই দাহ করা হয় চায়নার দেহ।
কিন্তু রবিবার রাতে আর চুপ থাকতে পারেননি বাদল। নাবালক মেয়ে ও তার বন্ধুর কীর্তিকলাপের কথা প্রতিবেশীদের জানান। সোমবার সকালে ওই যুবককে বাড়িতে ডেকে পাঠান বাদল। ওই যুবক পৌঁছতেই পুলিশকে খবর দেন প্রতিবেশীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় দু’জনেই তাদের অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy