প্রতীকী ছবি: তিয়াসা দাস
কৃত্তিকার মতোই স্কুলের শৌচাগার আত্মহত্যার পরিকল্পনা করেছিল কলকাতার অন্য একটি নামী স্কুলের এক মেধাবী ছাত্রী। ব্লেড নিয়ে দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী স্কুলের শৌচালয়ে পৌঁছেও গিয়েছিল। এমনকি বাঁ হাতে ক্ষতও করে ফেলেছিল সে। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের তৎপরতায় ওই ছাত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাঁদের দাবি, বড়সড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রেও কৃত্তিকার মতো কারও প্রতি মনের ভিতরে জমে থাকা ক্ষোভ এবং অবহেলার কারণেই ওই ছাত্রী এমনটা ঘটানোর চেষ্টা করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।
ওই স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ক্লাস শেষ হওয়ার পর দুপুর ৩টে নাগাদ শৌচাগারে যায় ওই ছাত্রী। শৌচালয়ের বাইরে বসানো ছিল সিসি ক্যামেরা। স্কুলের কর্মীরা ক্যামেরার সেই ছবির উপর নজর রাখছিলেন। ৫-৬ মিনিট হয়ে গেলেও সে শৌচাগার থেকে না বেরোনোয় অশিক্ষক কর্মীরা বাইরে থেকে ডাকাডাকি শুরু করেন। সাড়া না মেলায় শেষ পর্যন্ত দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় তাকে।
হাতে গভীর ক্ষত না হওয়ায় স্কুলেই প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয় তার। শিক্ষিকারা তাকে যখন জিজ্ঞেস করা হয়, সে এ রকম করল? জবাবে সে বলে, “সবাই কাজে ব্যস্ত। আমাকে কেউ ভালবাসে না। আমার জন্য কারও সময় নেই।” এমনিতে স্কুলে বেশ হাসিখুশিই থাকে ওই ছাত্রী। এমনটাই জানাচ্ছেন তার শিক্ষিকারা। সে যে অবসাদে ভুগছে, তেমন কোনও আঁচ পায়নি স্কুলের কেউই।
আরও পড়ুন: সেনার পোশাকে অপহরণ! নিউ আলিপুরের ব্যবসায়ী পালিয়ে বাঁচলেও, অপহৃত তিন সঙ্গী
জেসিবি মেশিন দিয়ে ঘর ভাঙার সময় দেওয়াল চাপা পড়ে শিশুর মৃত্যু, উত্তেজনা নোনাডাঙায়
এই ঘটনার পর ছাত্রীর বাবাকে ফোন করা হয়। তিনি কর্মসূত্রে শহরের বাইরে ছিলেন। ছাত্রীর মা-ও কাজ করেন। পরে তিনি স্কুলে আসেন। জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরে অবসাদে ভুগছিল ছাত্রীটি। তাকে চিকিৎসকও দেখানো হয়। তবে বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষ জানতেন না।
এ বিষয়ে পুলিশের কাছে এখনও পর্যন্ত কেউ অভিযোগ জানায়নি। ওই নামী স্কুলের তরফে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, কৃত্তিকা পালের ঘটনার পর তাঁরা কর্মীদের সতর্ক করে দিয়েছিলেন। এ দিন তার ফল মিলল বলে দাবি স্কুলের।
(কলকাতা শহরের রোজকার ঘটনার বাছাই করাবাংলা খবরপড়তে চোখ রাখুন আমাদেরকলকাতাবিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy