দু’পক্ষের ঝামেলায় শুক্রবার রাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল তিলজলার শিবতলা লেন। পুলিশ জানায়, একটি বাড়ির দখল নেওয়াকে কেন্দ্র করে ওই এলাকার দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলার শুরু। পরে বিষয়টি হাতাহাতিতে গড়ায়। কড়েয়া ও তিলজলা থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই ঘটনায় রাতেই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে কড়েয়া থানার পুলিশ। শনিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। তবে তাদের নাম পুলিশ প্রকাশ করেনি।
পুলিশ সূত্রের খবর, সম্প্রতি একটি বাড়ি পাশের একটি বাড়ির উপরে হেলে পড়ায় চাঞ্চল্য ছড়ায় তিলজলা এলাকার শিবতলা লেনে। ওই এলাকার একাধিক বেআইনি নির্মাণের অস্তিত্বও সেই ঘটনার পরে প্রকাশ্যে আসে। দেখা যায়, হেলে পড়া বাড়িটি তৈরির ক্ষেত্রে কোনও রকম পুর আইন মানা হয়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতের ঘটনাও এমনই একটি বাড়ির নির্মাণকে ঘিরে।
আরও পড়়ুন: বর্ষায় নিকাশির বড় কাজ নয়, নির্দেশে বিতর্ক
পুলিশ জানায়, শিবতলা লেনে একটি টালির চালের বাড়ির দখল কে নেবে, তা নিয়েই স্থানীয় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বেশ কিছু দিন ধরে রেষারেষি চলছিল। শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ এক পক্ষ বাড়ির মালিকের উপরে চড়াও হয়। তাঁর সমর্থনে সেখানে হাজির হয় অন্য একটি গোষ্ঠীর অন্তত জনা কুড়ি লোক। দু’পক্ষের মধ্যে বাড়ির দখল নিয়ে হাতাহাতি শুরু হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, ঝামেলায় জড়িতদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। স্থানীয় একটি তৃণমূল কার্যালয়েও ভাঙচুর চালায় তারা। খবর পেয়ে পুলিশের বিশাল বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সেই সময়েই দু’জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের জেরা করে গ্রেফতার করা হয় মোট পাঁচ জনকে।
রাকেশ হুসেন নামে স্থানীয় এক প্রোমোটার অবশ্য দাবি করেছেন, যারা শুক্রবার রাতে ঝামেলা করেছে, তারা এলাকার দুষ্কৃতী। নির্মাণকাজের সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই।
কড়েয়া থানার এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ‘‘মালিকানা নিষ্পত্তি না হওয়া একটি বাড়ি নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। অনেকে এক জায়গায় জড়ো হয়েছিল। ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর বেশি কিছু নয়।’’ যদিও অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, একের পর এক ঘটনার পরেও শহরের বেআইনি নির্মাণে রাশ টানা যাচ্ছে না কেন? উত্তর নেই কোনও মহলেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy